ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ২০১৬ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছ থেকে টি-২০ সিরিজ ছিনিয়ে নিল আফগানিস্তান৷ ক্যারিবিয়ানদের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে হারানোর সুবাদে ২-১ ব্যবধানে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তিন ম্যাচের সিরিজের দখল নিল আফগানরা৷
লক্ষ্ণৌয়ে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান৷ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৬ রান তোলে রশীদ খানরা৷ নবাগত উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান রহমানুল্লাহ গুরবাজ অনবদ্য হাফ সেঞ্চুরি করেন৷
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি৷ ব্যর্থ হয় শাই হোপের হাফ সেঞ্চুরি৷ আফগানিস্তান ২৯ রানের ব্যবধানে জিতে যায় ম্যাচ৷ বল হাতে আফগানদের জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন আর এক নবাগত পেসার নাভিন-উল-হক৷
আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন রহমানুল্লাহ৷ এটিই তাঁর টি-২০ তথা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস৷ ৫২ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন৷
এছাড়া আসগার আফগান ২৪, মোহাম্মদ নবী ১৫ ও নাজিবুল্লাহ জাদরান ১৪ রানের যোগদান রাখেন৷ শেলডন কটরেল, কেজরিক উইলিয়ামস ও কিমো পল ২টি করে উইকেট দখল করেন৷ ১টি উইকেট নেন ক্যাপ্টেন পোলার্ড৷
যদিও ব্যাট হাতে শাই হোপ ছাড়া ক্যারিবিয়ানদের হয়ে কেউই প্রভাবশালী প্রমাণিত হননি৷ হোপ ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৬ বলে ৫২ রান করেন৷ ওপেনার লুইস করেন ২৪ রান৷ পোলার্ডের অবদান ১১৷
নাভিন-উল-হক ২৪ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন৷ ১টি করে উইকেট নেন মুজিব, করিম, নাইব ও রশীদ খান৷
ম্যাচের সেরা হন রহমানুল্লাহ৷ সিরিজ সেরা হন করিম৷