সড়কে শৃঙ্খলার ফেরানোর লক্ষ্যে কার্যকর হওয়া নতুন সড়ক পরিবহন আইনের প্রয়োগে ৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। অভিযানের প্রথম দিন আজ সোমবার ৮৮টি মামলা এবং ১ লাখ ২১ হাজার ৯শ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর উত্তরা, বনানী, মতিঝিল, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী ও মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিআরটিএ।
অভিযানে যানবাহনের ফিটনেস, রুট পারমিট, ট্যাক্স টোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সিটপ্লান ও সংরক্ষিত আসন অনুসরণ না করায় এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়।
বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) এ কে এম মাসুদুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে মত ও পথকে বলেন, বিআরটিএ কর্তৃক পরিচালিত ৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছি। ব্যাপক সাড়া পড়েছে লক্ষ্য করছি। যাদের হেলমেট নেই তারা হেলমেট কিনে পড়ছেন। বিআরটিএ কার্যালয়ে ভীড় বেড়েছে, সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করছেন। নতুন আইনের প্রভাব পড়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম দিন হিসেবে আমরা আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ না করে সহনীয় মাত্রায় জরিমানা ও মামলা করেছি, কাউকে জেল দেয়া হয়নি। যাতে করে মানুষ সচেতন হয়। তবে ধীরে ধীরে আইনের সর্বোচ্চ ও যথাযথ প্রয়োগ করা হবে।
এক বছর আগে সংসদে নতুন সড়ক পরিবহন আইন পাস হলেও গত ১ নভেম্বর থেকে তা কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন দেয় সরকার। তবে ১৭ দিন প্রচার প্রচারণা চালানোর পর থেকে আজ সোমবার থেকে আইনটির প্রয়োগ শুরু করেছে পরিবহন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিআরটিএ।
এদিকে নতুন আইন বাস্তবায়নে বেশ কয়েকটি জেলায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। নতুন আইন প্রয়োগের প্রথম দিনই রাজধানীর সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা খুবই কম লক্ষ্য করা গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী সাধারণরা।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে, যেসব পরিবহনের কাগজপত্র ঠিক নেই ফিটনেসের সমস্যা রয়েছে কিংবা চালকের কাঙিক্ষত মানের লাইসেন্স নেই, তাদের অধিকাংশই সড়কে পরিবহন নামাননি। জরিমানা কিংবা জেলের ভয়ে সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা আগের তুলনায় কমে গেছে।