মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের বিরুদ্ধে মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রায় এলে দেশটির ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চিসহ ২০ নেতা তা মানতে বাধ্য হবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
আজ সোমবার ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গোলটেবিলটির আয়োজন করা হয়।
গত ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ওই মামলা করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। গাম্বিয়া ও মিয়ানমার দুই দেশই ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী।
ওই কনভেনশন স্বাক্ষরকারী দেশগুলোতে গণহত্যা থেকে বিরত থাকা নয় বরং এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ এবং অপরাধের জন্য বিচার করতে বাধ্য করে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) সদস্য হোক বা না হোক বিচারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সু চিসহ ঊর্ধ্বতন ২০ জনের বিরুদ্ধে রায় হলে তা মানতে বাধ্য হবেন। বিশ্বের সব দেশ সেই রায় মানতে হবে। তারা অন্য দেশে গেলেও তাদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হবে।
- দুদকের জালে নাজমুল-শোভন-রাব্বানী, ১০৫ জনের সম্পদের অনুসন্ধান
- রাঙ্গামাটিতে জেএসএসের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ৩
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নিধনের বিরুদ্ধে আইসিসির রায় হওয়ার পর মিয়ানমার ছাড়াও এ সংকট সমাধানে অনেক দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে।