নেদারল্যান্ডের রাজার পক্ষ থেকে নাইটহুড ‘অফিসার ইন দ্য অর্ডার অফ অরেঞ্জ-নাসাউ’ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়াপারসন এমেরিটাস স্যার ফজলে হাসান আবেদ।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিশেষত নারী ও শিশু উন্নয়নে তাঁর কয়েক দশকব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ এই খেতাব দেওয়া হয়।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় স্যার ফজলে হাসান আবেদের গুলশানস্থ বাসভবনে দেশটির রাজা কিং উইলেম আলেকজান্ডার অফ দ্য নেদারল্যান্ডস-এর পক্ষে দেশটির রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভেরওয়েইজ এই খেতাবের মর্যাদাসূচক পরিচয়চিহ্ন হস্তান্তর করেন।
এই উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং নেদারল্যান্ড দূতাবাসের প্রতিনিধিবৃন্দ।
এ সময় হ্যারি ভেরওয়েইজ বলেন, আমাদের মহামান্য রাজার পক্ষ থেকে আপনার কাছে এই খেতাবের পরিচয়চিহ্ন পৌঁছে দিতে পেরে আমি গৌরবান্বিত বোধ করছি। আপনি জীবনজুড়ে মানুষের মর্যাদা, প্রতিকূলতা মোকাবেলার সামর্থ্য, নিষ্ঠা এবং অন্তর্ভুক্তির মূল্যবোধের সপক্ষে কাজ করেছেন। এই মূল্যবোধগুলোর উপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাকের সফল বিকাশ ঘটেছে।
হ্যারি ভেরওয়েইজ আরও বলেন, ব্র্যাকের সকল কার্যক্রম ও ব্যবসা উদ্যোগ পরিচালনায় নারীর ক্ষমতায়ন একটি মূলনীতি হিসেবে কাজ করে আসছে, যা বিশ্বব্যাপী বিশেষভাবে প্রশংসিত। দারিদ্র্য বিমোচনে ব্র্যাকের কাজ নেদারল্যান্ডসহ সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
নেদারল্যান্ডের রাজার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, এই সম্মাননা অসামান্য মর্যাদার বিষয়। নেদারল্যান্ড কয়েক দশক ধরে ব্র্যাকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সমর্থক। দশ বছর আগে সেখানে ব্র্যাকের আন্তর্জাতিক কার্যক্রমের প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। এই রাজকীয় স্বীকৃতি সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বেরই সাক্ষ্য দেয়। ব্র্যকের আন্তর্জাতিক কার্যক্রম প্রসারিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমরা নেদারল্যান্ডের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারব বলে আশা করি। আমাদের এই যৌথ প্রয়াস বিশ্বে দারিদ্র্য ও বঞ্চনার মধ্যে বসবাসকারী মানুষের অবস্থার পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
- আরও পড়ুন >> শাহজালালে পৌঁছেছে ৮২ টন পেঁয়াজের প্রথম চালান
উল্লেখ্য, দারিদ্র্যবিমোচনে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফজলে হাসান আবেদ ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের রানি কর্তৃক ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত হন।