যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখের বেশি শিশুকে আটকে রাখা হয়েছে বলে এক গবেষণায় জানিয়েছে জাতিসংঘ। এসব শিশুদের একটি অংশ একাই যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে গিয়ে বন্দি হয়েছে। বাকিরা হয় পরিবারের সঙ্গে, নয়ত আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আটক আছে।
আইনজীবী মানফ্রেড নোওয়াকের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল ‘চিলড্রেন ডিপ্রাইভড অফ লিবার্টি’ নামে ৮০ দেশের উপর এই গবেষণা পরিচালনা করেন।
এক্ষেত্রে তারা সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি তথ্য ছাড়াও ‘খুবই বিশ্বাসযোগ্য’ সূত্রের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
গবেষণা বলছে, বিশ্বে কমপক্ষে তিন লাখ ৩০ হাজার শিশু শরণার্থী-সংশ্লিষ্ট কারণে আটক রয়েছে৷ এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে বন্দি শিশুর সংখ্যা প্রায় এক লাখ তিন হাজার৷ তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশি হতে পারে বলে এএফপিকে জানিয়েছেন নোওয়াক।
এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল নোওয়াকের দল। তবে উত্তর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একমাত্র দেশ যারা ১৯৮৯ সালে গৃহীত জাতিসংঘের ‘কনভেনশন অন দ্য রাইটস অফ দ্য চাইল্ড’ অনুমোদন করেনি।
নোওয়াক বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন শিশুদের তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ছোট শিশুদের তাদের বাবা-মার কাছ থেকে আলাদা করেছে, যা কনভেনশন অন দ্য রাইটস অফ দ্য চাইল্ড অনুযায়ী করা সম্ভব নয়। আমি এটাকে বাবা-মা ও শিশুদের প্রতি অমানবিক আচরণ মনে করি।