চালকদের দাবিগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে: আসাদুজ্জামান খান

মত ও পথ প্রতিবেদক

আসাদুজ্জামান খান কামাল
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগে যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘২০১৮ সালে পাস হওয়া আইন প্রয়োগে অনেক সময় দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি আইনটি প্রয়োগের ঘোষণার পর কয়েকটি যৌক্তিক জটিলতা সামনে এসেছে। এগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরিবহন চালকদের ৯ দফা দাবি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ট্রাফিক সচেতনতামূলক পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

২১ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক সচেতনতামূলক পক্ষ চলবে।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বেলুন উড়িয়ে ট্রাফিক সচেতনতামূলক পক্ষের উদ্বোধন করেন।

এ সময় ট্রাফিক পুলিশের জব্দ করা পাঁচ হাজার অবৈধ হাইড্রোলিক হর্ণ ধ্বংস করা হয়।

এ দিকে অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, সড়কে বিশৃঙ্খলা হলে আবারও যদি আমাদের সন্তানেরা রাস্তায় নামে, তাহলে আমাদের কারও পিঠের চামড়া থাকবে না।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবহন চালকদের লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে একটা জটিলতা ছিল। সেটি নিয়ে বুধবার রাতে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের দেয়া দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। অনেক চালকের লাইট যানবাহনের লাইসেন্স রয়েছে, কিন্তু তিনি মিডিয়াম যান চালাচ্ছেন। তার আবেদন সত্ত্বেও সিস্টেমের ঘাটতির জন্য আমরা তাকে লাইসেন্সটি দিতে পারছিলাম না। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর আমরা উপযুক্ত লাইসেন্সের জন্য আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত সময় দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে যথাযথভাবে লাইসেন্স করে নিতে হবে। এমন আরও ছোটখাটো কিছু বিষয় নিয়ে কয়েকদিন ধরে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। আমরা বলেছি, এগুলো সমাধান করে দেব। তারাও যানবাহন চলাচল করার কথা জানিয়েছেন।’

আইনের ৯টি ধারার ব্যাপারে মালিক-শ্রমিকদের আপত্তি ছিল জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর কাছে আমরা পাঠিয়ে দিচ্ছি। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, আইনে যে বিষয়গুলোতে অসঙ্গতি দেখা যায়, সেগুলো নিয়ে চিন্তা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সেটা অবশ্যই যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। কারণ আইনটি ইতিমধ্যে সংসদে পাস হয়ে গেছে।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে