তারেক জিয়াকে সরানোর ক্ষমতা সরকারের নেই : আলাল

মত ও পথ প্রতিবেদক

তারেক রহমান
তারেক রহমান। ফাইল ছবি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, তারেক রহমানকে যারা প্রকাশ্যে আসতে দিচ্ছে না তাদের বলি, তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে পথচলা শুরু হয়েছে সেখান থেকে তাকে সরানোর ক্ষমতায় সরকারের নেই।

আজ শুক্রবার জাতীয় দল আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

আলাল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বন্দি থাকা মানে দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা বন্দি। এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে বলে আমি মনে করি না। যেদিন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন সেদিন সর্বক্ষেত্রে গণতন্ত্র ও প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জনগণের প্রতি যে দায়বদ্ধতা, তা মুক্ত হবে। যে কারণে বন্দি বাংলাদেশকে আমাদের মুক্ত করতেই হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অবস্থা হচ্ছে এমন যে, কিল দিলেও মরে এবং কিল খাইলেও মরে। পেঁয়াজের দাম বাড়বে, আমার মা-বোন ধর্ষিত হবে, শিশুবাচ্চা মায়ের কোল থেকে বাসে পিষ্ট হবে, ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট হবে, গ্যাস বিস্ফোরণে মানুষ মারা যাবে, গুম-খুন হবে, কোনো কথা বলা যাবে না।

আলাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে শক্তিশালী হয়ে গেছে শাজাহান খান ও রাঙ্গা। মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতি মিলে বাংলাদেশের জনগণকে পিষে মারছে রাস্তায়। অথচ তাদের ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না, কোনো আইন প্রয়োগ করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বড় এ ধরনের নেতাকে আমরা আওয়ামী লীগের কোলে দেখতে চাই না।

তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, আমাদের কারও পিঠের চামড়া থাকবে না যদি আবার আমাদের সন্তানরা রাস্তায় নামে, সে পুলিশ হোক আর শ্রমিক নেতা হোক। সুতরাং আমাদের পিঠের চামড়া বাঁচাতে হলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। পিঠের চামড়া বাঁচাতে হলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। পিঠের চামড়া বাঁচাতে হলে এই যে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, এ বাংলাদেশকে জরুরি অগ্নিনির্বাপক হিসাবে বেগম খালেদা জিয়াকে ব্যবহার করার যে সুযোগ হাসিনার কাছে এসেছে তা যদি ব্যবহার না করেন তাহলে কারও পিঠের চামড়া থাকবে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে