ইডেন গার্ডেন্সে ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্টে বাংলাদেশকে ১০৬ রানে অলআউট করে ভারত। জবাবে প্রথম দিনেই ৩ উইকেটে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে ৬৮ রানের লিড নেয় স্বাগতিকরা। হাতে আছে ৭ উইকেট। ৫৯ ও ২৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও আজিঙ্কা রাহানে।
শুক্রবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শুরু হয় দিবা-রাত্রির টেস্ট। ফ্লাডলাইটের আলোয় অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতীয় পেসার ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ সামির গতির মুখে পড়ে দলীয় ৩৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে শেষ পর্যন্ত ৩০.৩ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয় মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটি।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক। এছাড়া ২৪ রান করে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে রিটায়ার্ডহার্ট হয়ে ফেরেন লিটন দাস। ইশান্ত শর্মার বাউন্সারে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে যেতে হয় লিটনকে। চোট গুরুততর হওয়ায় চলতি ইডেন টেস্ট আর খেলতে পারবেন না তিনি।
এছাড়া ১৯ রান করা তরুণ পেসার নাইম হাসানও চোট পেয়েছেন। তিনি মোহাম্মদ সামির বলে বাউন্সারের শিকার হন।
ভারতীয় পেস বোলারদের তাণ্ডবে রানের খাতা খুলার সুযোগ পাননি অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ, মোহাম্মদ মিঠুন, ও মুশফিকুর রহিম। ভারতের হয়ে ৫টি উইকেট শিকার করেন ইশান্ত শর্মা।
এছাড়া ৩টি উইকেট নেন উমেশ যাদব। ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ সামি।
জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় ভারত। ভারতীয় ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দেন আল-আমিন হোসেন ও ইবাদত হোসেন। দলীয় ৪৩ রানে দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও রোহিত শর্মার উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপের মধ্যে পড়ে যায় স্বাগতিক ভারত।
দলীয় ২৬ রানে আগারওয়ালকে ফেরান আল-আমিন। আগের টেস্টে ইন্দোরে ডাবল সেঞ্চুরি করা আগারওয়ালকে ইডেন টেস্টে মাত্র ১৪ রানে আউট করে দেন আল-আমিন।
এরপর দলীয় ৪৩ রানে ভারতের অন্যতম সেরা ওপেনার রোহিত শর্মাকে ফেরান ইবাদত হোসেন। ১২ রানে লাইফ পাওয়া রোহিত ফেরেন ২১ রান করে।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক বিরাট কোহিলকে সঙ্গে নিয়ে ৯৪ রানের জুটি গড়েন চেতেশ্বর পুজারা। এই জুটিতেই ক্যারিয়ারের ৭৫তম টেস্টে ২৪তম ফিফটি তুলে নেন পুজারা। এর আগে টেস্টে তিনি ১৮টি সেঞ্চুরি করেন।
ফিফটি তুলে নেয়ার পর ভারতীয় এ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে সাদমানের ক্যাচে পরিণত করেন ইবাদত। দলীয় ১৩৭ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৮ চারে ৫৫ রান করেন পুজারা।
এরপর সহ-অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানেকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন বিরাট কোহলি। দিনের শেষ বিকালে তারা অবিচ্ছিন্ন ৩৭ রানের জুটি গড়েন। টেস্ট ক্যারিয়ারের ৮৪তম ম্যাচে ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড ৫ হাজার রান সংগ্রহের পাশাপাশি ২৩তম ফিফটি তুলে নেন কোহলি। এর আগে তিনি জাতীয় দলের হয়ে ২৬টি টেস্ট সেঞ্চুরি করেন।