মাত্র ২৪ রানের মাথায় জীবন পাওয়া রোহাইল নাজিরের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ভর করে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে ৬ উইকেটে ৩০১ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে পাকিস্তান। অর্থাৎ শিরোপা জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩০২ রান।
সকালে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পাকিস্তান শুরুটা করে বেশ দেখেশুনে।
তবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই আঘাত হানেন সুমন খান। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারি বুঝতে না পেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন উমর ইউসুফ (৪)। তারপরও আরেক ওপেনার হায়দার আলি ঠিকই ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন। ২৩ বলে ২৬ রান করা এই ওপেনারকেও টেনে ধরেন সুমন খানই, নাইম শেখের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাজঘরে।
৪১ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। তৃতীয় উইকেটে সেই বিপদ সামলে ওঠেন রোহাইল নাজির আর ইমরান রফিক। এই উইকেটে তারা যোগ করেন ১০৭ রান। ৬২ রান করা ইমরানকে ফিরিয়ে এই জুটিটা ভাঙেন মেহেদী হাসান।
কিন্তু রোহাইল নাজির ঠিকই তুলে নেন সেঞ্চুরি। অথচ ২৪ রানেই থামতে পারতো তার ইনিংসটা। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে স্লিপে তার সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন ইয়াসির আলি রাব্বি। তানভির ইসলামের প্রথম ওভার ছিল সেটা।
সেই জীবন কাজে লাগিয়েই শেষ পর্যন্ত ১১১ বলে ১১৩ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন রোহাইল। ইনিংসের ৪৫তম ওভারে তাকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরের পথ দেখান হাসান মাহমুদ।
- আরও পড়ুন >> মহেশখালীতে ৯৬ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ
অধিনায়ক সৌদ শাকিল তবু চালিয়ে খেলছিলেন। ৪০ বলে ৪২ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে এসে সুমন খানের শিকার হন তিনি। ততক্ষণে পাকিস্তানের রান তিনশ ছুুঁই ছুুঁই, ৭ বলে ১২ রান করে আমাদ বাট তিনশ পার করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ৭১ রানে ৩টি উইকেট নেন সুমন খান। ২ উইকেট শিকার আরেক পেসার হাসান মাহমুদের। একটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান।