মহারাষ্ট্রে কয়েকদিনের নাটকীয়তার অবসান ঘটল। শেষ খেলা খেলল বিজেপি। কংগ্রেস ও শিব সেনাকে চমকে দিয়ে এনসিপির সঙ্গে জোট করে ওই রাজ্যে সরকার গঠন করেছে গেরুয়া দল।
এনসিপির সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয়বার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজভবনে শপথ নিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এনসিপির অজিত পাওয়ার। মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রায় এক সপ্তাহ পর সবাইকে অবাক করে দিয়েছে বিজেপি ও এনসিপি।
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফের শপথ নেওয়ার পর দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, বিজেপি মহারাষ্ট্রের জনগণকে একটি স্থিতিশীল সরকার দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তার দলের জোটসঙ্গী শিবসেনা জনগণের আদেশ মানেনি। তিনি বলেন, আমি এনসিপিকে এই সরকার গঠনের জন্য সমর্থন করায় ধন্যবাদ জানাই। আমরা সকলেই জানি যে, গত কয়েকদিন ধরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি ছিল মহারাষ্ট্রে এবং শিবসেনা জনাদেশ অনুসরণ করেনি।
তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রে খিচুড়ি সরকার নয়, একটি স্থিতিশীল সরকার দরকার ছিল। শুক্রবার ওই রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য জোট ঘোষণা করে এনসিপি, শিবসেনা এবং কংগ্রেস। এমনকি শুক্রবার একসঙ্গে বৈঠকের পর তিনটি দলই সহমত হয়ে বলেছিল যে, শিবসেনা প্রধানই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আর তারপরেই শনিবার সকালেই সব কিছু ভিন্ন পথে মোড় নিয়েছে। রাজনৈতিক মহলকে হতচকিত করে দিয়ে শেষপর্যন্ত মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ল বিজেপি-এনসিপি জোট।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর অজিত পাওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ফলাফলের দিন থেকে আজ পর্যন্ত কোনও দলই সরকার গঠন করতে পারেনি। মহারাষ্ট্র কৃষক সমস্যাসহ অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। তাই আমরা এখানে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এনসিপির সহায়তায় মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার গড়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক টুইট বার্তায় নতুন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ায় দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং অজিত পাওয়ারকে অভিনন্দন জানাই। আমি বিশ্বাস করি যে, তারা একসঙ্গে ভালভাবে কাজ করবেন। মহারাষ্ট্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।