পৃথিবীতে পর্যটকদের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি মাশুল দিতে হয়, ভুটান তার মধ্যে অন্যতম। এতদিন পর্যটন শুল্ক ছাড়াই ভুটান ভ্রমণ করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশ ও ভারতীয় পর্যটকদের।
দেশটিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের দিনে বিভিন্ন ফি বাবদ ২৫০ ডলার ব্যয় করতে হয়। এর মধ্যে ৬৫ ডলার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি এবং ৪০ ডলার ভিসা প্রসেসিং ফি। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
এতদিন আঞ্চলিক অর্থাৎ ভারতীয় ও বাংলাদেশি পর্যটকদের কিছুই দিতে হতো না। কিন্তু এখন থেকে আঞ্চলিক পর্যটকদের মাথাপিছু দিনপ্রতি ১০৫ ডলার বেশি দিতে হবে।
মালদ্বীপও বাদ যাচ্ছে না এ তালিকা থেকে। ইতিমধ্যেই একটি নতুন খসড়া নীতি তৈরি করেছে ভুটানের পর্যটন মন্ত্রণালয়। ডিসেম্বরে ভুটানের মন্ত্রিসভা সবুজ সংকেত দিলেই এই আইন কার্যকর হবে।
ভুটান পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, পর্যটকদের উচ্চমানের পরিষেবা দেয়াই এই নীতি পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। গত ১০ বছরে পর্যটকদের সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বেড়ে যাওয়ায় পরিসেবার মান রক্ষা করা যাচ্ছিল না বলে দাবি করেছে তারা।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে মোট ২ লাখ ৭৪ হাজার পর্যটক ভুটানে যান। তাদের মধ্যে অন্তত ২ লাখই ছিল ভারত, বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপ থেকে। তার মধ্যে আবার ভারতীয়দের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। কমপক্ষে ১ লাখ ৮০ হাজার। পর্যটন শুল্কে ছাড়ই এর মূল কারণ বলে দাবি করেছে দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের বেলায় ব্যাপারটা মাশুলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ভারতের বেলায় এর কিছুটা রাজনৈতিক রূপ আছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
বছর খানিক আগে ডোকালামে ভারতীয় ও চীনা সেনাবাহিনীর মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ভুটানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে কিছুটা সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
অর্থাৎ, ভারতীয় পর্যটক কমাতে এই সিদ্ধান্ত। তবে এই সিদ্ধান্তে ভুটানের পর্যটক কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।