জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে আপিল বিভাগ। আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চের কার্যতালিকায় খালেদা জিয়ার আবেদনটি থাকলেও তা পেছানো হয়। আপিল বিভাগ বলেছে, এই আবেদনটি পুরো বেঞ্চ শুনবেন।
এর আগে ১৭ নভেম্বর চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। ১৪ নভেম্বর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন চেয়ে আপিল আবেদন করা হয়।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়।
পরে ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দ করার ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন।
- আরও পড়ুন >> জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি আজ
- আরও পড়ুন >> বিএনপি সমাবেশের আর অনুমতি নেবে না : মির্জা ফখরুল
- আরও পড়ুন >> প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার ওপর ক্ষুব্ধ ৪ কমিশনার
২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
পরবর্তী সময়ে ১১ সেপ্টেম্বর ফের জামিন আবেদন ফেরত দেন বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আবদুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ড পেয়ে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। পরবর্তী সময়ে আপিলের পর হাইকোর্টে যা বেড়ে ১০ বছর হয়।
২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করেন। তবে সে আবেদন এখনও আদালতে উপস্থাপন করেননি তার আইনজীবীরা।