জেলার ৩ কৃতী সন্তানের মৃত‌্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা-এর শোক

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি

আজ একাদশ জাতীয় সংসদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে তাঁর কার্যালয়ে সমিতির এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত সভায় সমিতির পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতী সন্তান সাবেক উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট সংগীত গবেষক ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোবারক হোসেন খান এবং জাতীয় দলের সাবেক কৃতী ফুটবলার ওসিউর রহমান মোল্লা-এর মৃত‌্যতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করা হয়।

universel cardiac hospital

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকার সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল নূরসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমিতির নেতৃবৃন্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রয়াত কৃৃতী সন্তানদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস‌্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, হুমায়ুন কবীর ১৯৫২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৈরতলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম বজলুর রহমান ও মায়ের নাম উকিলুন্নেচ্ছা। হুমায়ুন কবীর ছাত্র জীবনে ১৯৭০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ভিপি ছিলেন। পরে তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৭ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কনিষ্ঠতম পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি পুনরায় পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। এসময় তিনি জেলার বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজে অবদান রাখেন। 

মোবারক হোসেন খান ১৯৩৮ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের এক সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ একজন প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী এবং তাঁর চাচা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ।

সংগীতে অবদানের জন্য তিনি ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত একুশে পদক, ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে ভূষিত হন এবং ২০০২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে