গর্ভকালীন অবস্থায় প্রসূতি মায়েদের ডাক্তারি পরীক্ষাগুলোর মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের অনাগত সন্তানের লিঙ্গ ও শারীরিক গঠনসহ নানা বিষয় জানিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনাগত সন্তানের লিঙ্গ জানতেই আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়ে থাকে। তবে এখন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে অনাগত শিশুর লিঙ্গ জানা নিষিদ্ধ করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর জেলা সদর হাসপাতালে জন্ম নেয়া এক নবজাতককে ঘিরে ধূম্রজাল তৈরি হয়।
ওইদিন দুপুরে হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মোহনপুর এলাকার শারমীন আক্তার ও সুহিলপুর এলাকার তামান্না আক্তার এবং পৌরশহরের পাইকপাড়া এলাকার দিপ্তী রানী দাস দুই ছেলে ও এক মেয়ে শিশুর জন্ম দেন। শারমীন ও তামান্নার কোলে দুই ছেলে শিশু এবং দিপ্তীর কোলে এক মেয়ে শিশু তুলে দেন চিকিৎসক।
কিন্তু বিপত্তি বাধে দিপ্তীর ছেলে সন্তান দাবি করা নিয়ে। দিপ্তী মেয়ে শিশু তার নয় জানিয়ে তামান্নার কোলে তুলে দেয়া ছেলে শিশুকে তার বলে দাবি করেন। এর কারণ হিসেবে দিপ্তী জানান, একাধিকবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করে তার গর্ভে ছেলে শিশু রয়েছে বলে চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছিলেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম জানান, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে শিশুর লিঙ্গ জানা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন থেকে কোনো হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে শিশুর লিঙ্গ জানানো যাবে না। এ জন্য চিকিৎসকসহ জেলার সব হাসপাতালে চিঠি দেয়া হয়েছে।