শনিবার শেষ হচ্ছে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন

আগামীকাল শনিবার শেষ হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনের সময়সীমা। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন বা ইলেকট্রনিক ব্যবসা শনাক্তকরণ সংখ্যা (ই-বিআইএন) এক লাখ ছাড়িয়েছে।

তবে সময়সীমা পার হওয়ার পর কোনো ব্যক্তি নতুন প্রতিষ্ঠান চালু বা ব্যবসা শুরু করতে চাইলে সেক্ষেত্রে নিবন্ধন নিতে পারবেন। খবর বাসসের।

সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে করজালের আওতায় নিয়ে আসা, অস্তিত্বহীন বা ভুয়া নিবন্ধন বন্ধ এবং নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করে। ১১ ডিজিটের পুরনো ভ্যাট নিবন্ধন বাতিল করে সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-বিআইএন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়।

ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে বিদ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের সময়সীমা কয়েকদফা বাড়ানো হয়। তবে এবার আর সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে না।

এনবিআরের সদস্য (মূসকনীতি) আব্দুল মান্নান সিকদার বলেন, ‘৩০ নভেম্বর (শনিবার) বিদ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধন গ্রহণের সময় শেষ হচ্ছে। এই সময়সীমার পরে বিদ্যমান কোনো প্রতিষ্ঠান পুরনো নিবন্ধন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বা অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না। তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অব্যশই অনলাইন ভ্যাট নিবন্ধন বা নতুন ই-বিআইএন নিতে হবে।’

আব্দুল মান্নান সিকদার বলেন, বিদ্যমান কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ইতোমধ্যে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন না নিয়ে থাকে, তাহলে তাকে অনলাইনে আবেদন করে নতুন ভ্যাট নিবন্ধন নিতে হবে। কারণ ৩০ নভেম্বরের পরে পুরনো নিবন্ধন দিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানো যাবে না।

এনবিআরের এই কর্মকর্তা বলেন, সনাতনী ভ্যাট ব্যবস্থায় সাড়ে ৮ লাখ বিআইএন গ্রহণকারী ব্যবসায়িক সত্তা থাকলেও প্রতি মাসে মাত্র ৩৬ হাজার করদাতা নিয়মিত দাখিলপত্র প্রদান করেন। ফলে অনেক অস্তিত্বহীন নিবন্ধিত করদাতা যেমন রয়েছেন, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকা সত্ত্বেও অনেক করদাতা নিয়মিত দাখিলপত্র প্রদান করেন না বা করজালের বাইরে অবস্থান করছেন। সার্বিকভাবে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করার লক্ষ্যে মুলত অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করা হয়।

‘যেহেতু আমরা ইতোমধ্যে অনলাইন অবকাঠামো তৈরি করেছি, সুতরাং রিটার্ন দাখিলসহ আরো কিছু কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালনা করা যাবে। এছাড়া ই-বিআইএন বাধ্যতামূলক হওয়ায় দেশে মোট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত সংখ্যা নিরুপন করা সম্ভব হবে।’-যোগ করেন তিনি।

উল্লেখ্য,১ জুলাই থেকে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে