সরকারের বিদায় ঘণ্টা শোনা যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

মত ও পথ প্রতিবেদক

মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চারদিকে সরকারের বিদায় ঘণ্টা শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

universel cardiac hospital

এগ্রিচালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ জাবেদ ইকবাল স্মরণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

ফখরুল বলেন, সরকারের বিদায় ধ্বনি চারদিকে শোনা যাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের সাহেবরাও কথা বলছেন যে আমাদের কাউকে তাড়াতে হবে না, আমরা নিজেরাই ভেগে যাব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ এখন দুঃস্বপ্ন দেখছে। তারা সব জায়গায় এখন বিএনপিকে দেখতে পায়।

হলি আর্টিসান হামলা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, হলি আর্টিসানের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট এজন্য যে, এ রায়ে ভয়ঙ্কর ও ভয়াবহ জঙ্গিবাদ, সেটা যে ধরনেরই হোক। যে জঙ্গিবাদ আজকে মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে একটা রায় হয়েছে, সেই রায়কে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা এটাও আশা করছি, এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে, তার জন্য সবাই সচেতন থাকবে। কিন্তু সমস্যাটা কিন্তু অন্য জায়গায়? এই ঘটনা ঘটনার সুযোগ থাকে কোথায়? তখনই সুযোগ সৃষ্টি হয় যখন মানুষ কথা বলতে পারে না, যখন মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার হারায়, যখন মানুষ তার ব্যথা, বেদনা, আক্ষেপ ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে না। আজকে আওয়ামী লীগ সরকার ১০-১২ বছর ধরে এই অবস্থান তৈরি করেছে যে, যেখানে মানুষ তার কথা বলতে পারবে না।

ফখরুল বলেন, গতকাল নাসিম সাহেব একটা বলছেন, এটা ঠিক নয়। তিনি বলেছেন, হলি আর্টিজানের যে রায় হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা কিছু বলিনি। এটাও ঠিক নয়। হলি আর্টিসানের রায় যেদিন হয়েছে, সেই দিন আমাকে কয়েকজন সাংবাদিক ফোন করেছেন। আমি আমাদের প্রতিক্রিয়া সেখানে দিয়েছি। সেটা হচ্ছে, হলি আর্টিসানের ঘটনা হওয়ার পরপরই আমরা প্রথম সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। সেই সম্মেলনে আমরা বলেছিলাম, আজকে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের। সরকারের উচিত হবে এই মুহূর্তে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান করে একটা বৈঠকের মাধ্যমে এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এই জঙ্গিবাদ আমাদের সমস্ত সভ্যতাকে বিনষ্ট করে দিচ্ছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন ডিএনএ টেস্ট হয় চাকরির জন্য! কি টেস্ট? বিএনপি ও জাতীয়তাবাদীর কোন গন্ধ আছে কি-না। হাসছেন আপনারা? এ ঘটনাগুলো আপনারা সবাই জানেন। এজন্য আমাদের সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ৭১ সালে আমরা যে চেতনা নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, সেই চেতনা ছিল গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্রকে এরা (আওয়ামী লীগ) ভাজিডলা করে খেয়ে নিচ্ছে।

বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করবার সব চক্রান্ত সম্পূর্ণ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশীদুল হাসান হারুনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আবদুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে