‘আইএস টুপি’ : দায় নিচ্ছে না কেউ

মত ও পথ প্রতিবেদক

আইএসের টুপি পরে আদালতে আসামি

চাঞ্চল্যকর হলি আর্টিজান মামলার রায় ঘোষণা পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির মাথায় থাকা আইএসের লোগো সম্বলিত টুপি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও এর দায় নিচ্ছে না কেউ। এ ঘটনায় গঠন করা কারা কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে ভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ডিএমপির তদন্ত কমিটি বলছে, কারাগার থেকেই পকেটে করে আইএসের টুপি এনেছিল জঙ্গিরা। আর কারা কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, কারাগার নয় টুপি অন্য কোথাও থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

universel cardiac hospital

আজ শনিবার তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এখন নিরাপত্তার ভেতরে টুপি আসল কোথা থেকে এ নিয়ে আবারো জোড়াল প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এর আগে, গত বুধবার চাঞ্চল্যকর হলি আর্টিজান মামলার রায় ঘোষণা পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিগ্যান ও জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধীর মাথায় থাকা আইএসের লোগো সম্বলিত কালো টুপি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কারা কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটির সদস্য কারা অধিদপ্তরের ডেপুটি আইজি প্রিজন মো. টিপু সুলতান আজ সাংবাদিকদের বলেন, কারা বিধি অনুযায়ী, কোনো আসামিকে কারাগার থেকে বের করে আদালতে নেয়ার সময় এবং আদালত থেকে আবার কারাগারে প্রবেশ করানোর সময় খুবই সতর্কতার সঙ্গে সার্চ করে দেখা হয়।

তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখেছি, হলি আর্টিজান হামলার রায়ের দিনেও আসামিদের সার্চ করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং সার্চ করে কারা অভ্যন্তরে প্রবেশ করানো হয়েছে। এ সময় জঙ্গিদের কাছে কোনো ধরনের টুপির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

তাহলে টুপি আসল কোথা থেকে এবং ডিএমপির তদন্তের বিষয়ে কি বলবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টুপি ঠিক কোথা থেকে এসেছে সেটি আমরা জানি না। ডিএমপির তদন্তের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপির তদন্ত কমিটির প্রধান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি কারাগার থেকেই পকেটে করে আদালত প্রাঙ্গনে আইএসের টুপি নিয়ে এসেছিল জঙ্গিরা। রায় ঘোষণার পরে প্রথমে উল্টো করে পরলেও পরে তা ঠিক করে পরে নেয়া হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের কোনো সদস্যের গাফিলতি ছিল কি না সেটি তদন্ত করাই আমাদের মূল বিষয়। আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি। যদি কারও কোনো ধরনের গাফিলতি পাওয়া যায় অবশ্যই সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার চাঞ্চল্যকর হলি আর্টিজান মামলার রায়ে ৭ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় আট আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এসময় তাদের মাথায় কোনো টুপি দেখা না গেলেও রায় ঘোষণা শেষে দেখা মেলে ওই কালো টুপির।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে