খান আতার মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বিনোদন প্রতিবেদক

খান আতা
ফাইল ছবি

দেশের একজন কিংবদন্তি বিনোদন ব্যক্তিত্ব খান আতাউর রহমান। চলচ্চিত্র জগতে যিনি ‘খান আতা’ নামে বহুল পরিচিত।

একাধারে তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, গায়ক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার এবং প্রযোজক। বাংলা চলচ্চিত্রে একসঙ্গে এতগুলো গুণ বোধহয় দ্বিতীয় কারও নেই।

universel cardiac hospital

আজ সেই কিংবদন্তির মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৭ সালের ১ ডিসেম্বর ৬৮ বছর বয়সে খান আতাউর রহমান ঢাকায় মারা যান। ১৯২৮ সালের ১১ ডিসেম্বর তিনি জন্মেছিলেন মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইরে।

তিনি মোট তিনটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী শার্লি, দ্বিতীয় স্ত্রী মাহবুবা রহমান এবং তৃতীয় স্ত্রী কণ্ঠশিল্পী নিলুফার ইয়াসমিন। বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন সম্পর্কে খান আতার শ্যালিকা। গায়ক আগুন তার একমাত্র ছেলে।

খান আতার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল অভিনয় দিয়ে। তার অভিনীত প্রথম ছবি ১৯৫১ সালে উর্দু ভাষার ‘জাগো হুয়া সাভেরা’। চলচ্চিত্রকার এহতেশাম পরিচালিত ‘এ দেশ তোমার আমার’ খান আতা অভিনীত প্রথম বাংলা ছবি।

এরপর ১৯৬৭ সালে ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ এবং ১৯৭০ সালে ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবি দুটি দিয়ে তিনি পরিচিতি লাভ করেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি খান আতা চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার প্রতিভার নজির রাখেন। ১৯৭৫ সালে ‘সুজন সখী’ ছবির তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৯৭ সালে ‘এখনো অনেক রাত’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জেতেন আরও দুটি জাতীয় পুরস্কার। কেরিয়ারে মোট পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন খান আতা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে