ওয়াসার পানি সুপেয়- সংস্থাটির এমন দাবি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদন।
আজ সোমবার হাইকোর্টে আসা বিশেষজ্ঞ কমিটির ৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ সাঈদ উর রহমান স্বাক্ষরিত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াসার পানি সুপেয়- সংস্থাটির এমন দাবি অসত্য। ওয়াসার পানিতে মিলেছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও মলের জীবাণু।
প্রতিবেদনে নগরবাসীর জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিতে ৪ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হলো-
১. পানিতে কোনো ধরনের দূষণ বা জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকা ওয়াসার উচিত পানি সরবরাহ লাইনগুলোর মেরামত করা ও লাইনগুলো আধুনিক করা। এজন্য ঢাকা ওয়াসাকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে
২. ঢাকা শহরে সরবরাহকৃত পানির মান যাচাই ও মনিটরিং করার জন্য তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে ক্যাম্পেইন চালু করতে হবে। এছাড়া এ ক্যাম্পেইনের জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। বছরজুড়ে এ ক্যাম্পেইন অব্যাহত থাকবে।
৩. ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালাতে হবে যাতে তারা বাসা-বাড়িতে থাকা পানির ট্যাংকি ও হাউসগুলো পরিস্কার রাখে।
৪. অবৈধ পানির সংযোগ বন্ধ করতে হবে যাতে সুপেয় পানির সরবরাহ নিরাপদ থাকে ও পানি দূষণমুক্ত থাকে।
বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের মতামত তুলে ধরে বলেছেন, ওয়াসা ও দুই সিটি করপোরেশন সমন্বিতভাবে কাজ করলে ওয়াসার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যাকটেরিয়া কিংবা জীবাণু ঢুকতো না বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর-উস সাদিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
- এসএ গেমস : দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের ১৮ পদক
- ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে শিশুরা ক্ষমা করবে না : শেখ হাসিনা
এর আগে গত জুলাইয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত আগের কমিটি আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে ৪টি জোন এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনিঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত ৮টি নমুনাতে পানিতে দুষণ পেয়েছে বলে আদালতকে জানান।
এসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া, উচ্চমাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে। এছাড়াও কিছু কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলেও আগের প্রতিবেদনে বলা হয়।
কিন্তু তা মানতে চায়নি ওয়াসা। এমন বাস্তবতায় আরেকটি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে পানি পরীক্ষায় দায়িত্ব দেন হাইকোর্ট। বিশেষজ্ঞ কমিটির দাখিল করা নতুন এ প্রতিবেদনেও ওয়াসার পানিতে ক্ষতিকর ই-কোলাই ও ব্যাকটেরিয়া পাওয়ার সত্যতা মিলেছে।