বাংলাদেশের অনন্য অর্জন পার্বত্য শান্তিচুক্তি

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)। ফাইল ছবি

পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের মোট আয়তনের এক-দশমাংশ। আমাদের জনসংখ্যার ঘনত্বের বিবেচনায় মোট আয়তনের এক-দশমাংশ বিশাল এলাকা। সেখানকার ভূমি বিন্যাস, স্থানীয় উপজাতীয় জনগণ, অভাবনীয় ও অনাবিষ্কৃত প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সর্বোপরি ভৌগোলিক অবস্থান বাংলাদেশকে অপার বহুত্ববাদের সৌন্দর্যে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে। ১৯৪৭ সালের ভ্রান্ত ও বেদনাদায়ক দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে উপমহাদেশ দ্বিখণ্ডিত হলে আমরা পূর্ব বাংলা, পরবর্তী সময়ে পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের অংশ হয়ে গেলাম। মাতৃভূমি দ্বিখণ্ডনের পরিণতিতে দুই সম্প্রদায়েরই মানুষের তীব্র রক্তক্ষরণের গভীর ক্ষত এবং লাখ লাখ ভাসমান মানুষের মহাবিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যে ঘৃণা, বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলো, তা এখনো স্থায়ীরূপে বিদ্যমান। এর থেকে বের হতে পারলে রক্তের বন্ধন, ইতিহাস ও জাতিসত্তার সংযোগের যে শক্তি, তার মাধ্যমে এই উপমহাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও আরো অনেক শক্তিশালী হতে পারত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও আমরা বিষাদময় সেই লিগাসি থেকে বের হতে পারিনি, পারছি না। তাই সেই রক্তক্ষরণ ও বিদ্বেষ থেকে উৎপত্তি দ্বন্দ্বের ফলে জন্মের শুরু থেকেই ভারত-পাকিস্তান পরস্পরের শত্রু হিসেবেই পাশাপাশি অবস্থান করছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এ পর্যন্ত চারবার পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ হয়ে গেছে। এখন একে অপরের দিকে পারমাণবিক অস্ত্র তাক করে আছে বলেই অনেকে মনে করেন। জন্মগত বৈরী সম্পর্কের পরম্পরায় গত শতকের ষাটের দশকের শুরু থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের গহিন জঙ্গলে মিজোরাম, নাগাল্যান্ডের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের জন্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা থেকে প্রশিক্ষণসহ সব রকমের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদানের ব্যবস্থা করে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই ভারতের সব সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উৎখাত করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর সরকার ঘোষণা করে অন্য দেশের সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ঘোষণা অনুযায়ী কাজও হয়। ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর দৃশ্যপট আবার পাকিস্তান আমলের পর্যায়ে চলে যায়। পঁচাত্তরের রক্তাক্ত পথ ধরে বাংলাদেশের ক্ষমতায় এলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান দুটি কাজ করলেন, যা পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হওয়ার মূল কারণ হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেছে। প্রথমটি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে আবার দ্বার উন্মোচন করে দেন। এবার বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে আইএসআই পাকিস্তানের আমলের চেয়েও বৃহৎ আকারে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া শুরু করে। দ্বিতীয় যে কাজটি জিয়াউর রহমান করেন তা হলো বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের বিভিন্ন জেলা থেকে আগ্রহী বাঙালিদের নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে পুনর্বাসন। এর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি তার সশস্ত্র শাখা শান্তি বাহিনীকে সক্রিয় করে তোলে। কয়েক হাজার উপজাতি পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উদ্বাস্তু হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আশ্রয় নেয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনীর তৎপরতা ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। সংগত কারণেই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে কাউন্টার ইন্সারজেন্সি অর্থাৎ শান্তি বাহিনীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তারপর থেকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি যেমন বেড়েছে, তেমন বৃদ্ধি পেয়েছে শান্তি বাহিনীর তৎপরতা। এখানে যে কথাটি তাৎপর্যপূর্ণ তা হলো, পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষায় ভারতীয় বিদ্রোহীদের পার্বত্য চট্টগ্রামে আশ্রয় দেওয়ার কারণেই পাল্টা হিসেবে শান্তি বাহিনীও ভারতের আশ্রয় পায়। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সশস্ত্র বিদ্রোহী এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর সরকার কর্তৃক গৃহীত নীতি যদি জিয়াউর রহমান বজায় রাখতেন, তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনী কখনো তৎপরতা চালানোর কোনো সুযোগই পেত না।

১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর বিরাজমান ভ্রাতৃঘাতী রক্তক্ষরণে বাংলাদেশের যে পরিধি ও আকারের ক্ষতি হয়েছে, তা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। শুধু তা-ই নয়, বড় কথা হলো, শান্তিচুক্তি হলেও তার আগে সংঘটিত নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার মতো কাজে সব সময় কিছু অশুভ পরিণতি থাকে, যা থেকে কখনোই বের হওয়া যায় না। পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ আমরা সেটাই দেখছি। ২১ বছরের অশান্তিতে উপজাতি ও বাঙালি—উভয় সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে অনেক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, তার সঙ্গে সেনাবাহিনীর যাঁরা আহত-নিহত হয়েছেন বাংলাদেশের স্বার্থের প্রেক্ষাপটে, তার কোনো প্রয়োজনই ছিল না। জিয়াউর রহমানের আমলে শুধু দ্বিজাতিতত্ত্বের আত্মঘাতী নীতিতে একাত্তরের গণহত্যাকারী পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষা করতেই ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে আমাদের জড়িয়ে পড়তে হয়। প্রথম দিকে এই ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের জন্য কোনো প্রচেষ্টা হয়নি; বরং এর তীব্রতা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে। এরশাদের আমলের শেষের দিকে এবং ১৯৯১-১৯৯৬ বিএনপির প্রথম মেয়াদে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা শেষ পর্যন্ত কোনো কাজে আসেনি।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৯৬ সালের জুন মাসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। যে বিষয়টি এখানে গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবনের, তা হলো দুই সামরিক শাসক কর্তৃক রাজনীতি ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার সব কিছু তছনছ করে দেওয়ার পর ২১ বছরের বিরতি শেষে শেখ হাসিনা প্রথমবার সরকার গঠনের মাত্র দেড় বছরের মাথায় শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে ফেললেন, যেটি বিএনপি সরকার পাঁচ বছর এবং এরশাদ সরকার কয়েক বছর চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। রীতিমতো বিস্ময়কর এবং অভাবনীয় ঘটনা। নেতৃত্বের রাজনৈতিক সাহস, আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধতা, দেশের স্বার্থ রক্ষায় অবিচল এবং মানুষের প্রতি মানবিক ভালোবাসার কারণেই এত অল্প সময়ে একটা সরকারের পক্ষে এই অসাধ্য সাধন করা সম্ভব হয়েছে। আরো উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সশস্ত্র বিদ্রোহ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শান্তিপূর্ণ পন্থায় নিরসনে সব জায়গাই তৃতীয় কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রবর্গের সংশ্লিষ্টতার প্রয়োজন হয়েছে, একমাত্র ব্যতিক্রম পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি। এখানে কোনো তৃতীয় পক্ষের সংশ্লিষ্টতার প্রয়োজন হয়নি। এটিও একটি অনন্য উদাহরণ। এই চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়েছে বাংলাদেশ সরকার আর বিপরীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। তারপর চুক্তির বিষয়বস্তু ও শর্তাবলি উভয় পক্ষের জন্য ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য একটা উইন উইন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এ রকম একটা অসাধারণ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের এক-দশমাংশ এলাকায় শান্তি স্থাপন করতে সক্ষম হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনেসকো শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।

সব কিছুই ঠিক ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিই কাল হয়ে দাঁড়াল। তৎকালীন সংসদের বিরোধী দল বিএনপি ঘোষণা দিল, এই চুক্তির মাধ্যমে ফেনীর পর থেকে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম—পুরোটাই ভারতের অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু কিভাবে ভারত হয়ে গেল, চুক্তির কোন কোন শর্তাবলি দ্বারা সেটি বোঝা যায় তার কিছুই বলতে পারল না। আর চুক্তি হলো বাংলাদেশ সরকার, আর বাংলাদেশের আরেকটি বিক্ষুব্ধ পক্ষের মধ্যে, সেখানে ভারত আসে কী করে? এখানে সেই সাতচল্লিশের দ্বিজাতিতত্ত্বের অন্ধ চেতনায় সব কিছুতেই ভারতের ভূত দেখা, অর্থাৎ ‘যা কিছু হারায়—গিন্নি বলে কেষ্ট ব্যাটাই চোর।’ বাংলাদেশের জন্য তো বটেই, এ অঞ্চলের মানুষের জন্য দুর্ভাগ্য যে আমরা এখনো সাতচল্লিশের চেতনা থেকে বের হতে পারলাম না। চুক্তি স্বাক্ষরের ২১ বছরের মাথায় এসে এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামের যেসব সমস্যা বিরাজমান তার কারণগুলো কিন্তু সবারই জানা। হয়েছে এমন যে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীর অপারেশন অত্যন্ত সফলভাবে হলেও পোস্ট-অপারেটিভ পিরিয়ডে সঠিক পরিচর্যার অভাবে এমন গুরুতর ইনফেকশন হয়েছে যে তা আর ভালো হচ্ছে না।

শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার পর পরই ২০০১ সালে আবার ক্ষমতায় এলো জামায়াত-বিএনপি সরকার। এটাই ছিল চুক্তি বাস্তবায়নের প্রাইম টাইম এবং পোস্ট-অপারেটিভ পিরিয়ড। কিন্তু চুক্তি সম্পর্কে শুরু থেকেই বিএনপির বিরোধিতা সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দেয়। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তারা চুক্তিটি বাতিল না করলেও বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে এই ফাঁকে বহুপক্ষীয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এর ভেতরে ঢুকে পড়েছে। দেশি-বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় চুক্তিবিরোধী একটি সশস্ত্র পাহাড়ি গোষ্ঠী শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে ফেলে, যার নাম ইউপিডিএফ। দেশি-বিদেশি অনেক এনজিও নানাবিধ দূরভিসন্ধি নিয়ে পাহাড়ে ঢুকে পড়ে। ২০০৭ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক আদিবাসী কনভেনশন ঘোষণা করার পর ওই দেশি-বিদেশি চক্র পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কিছু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আদিবাসী ইস্যুকে সামনে এনে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের পথে নতুন অন্তরায় সৃষ্টি করে, যা এখনো অব্যাহত আছে। এ অঞ্চলের মানুষ আদিবাসী, নাকি উপজাতি, তা শান্তিচুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। সেটি নিয়ে আবার মাঠ গরম কেন করা হচ্ছে। এরা কারা, এদের পেছনে কারা আছে সেটি ভেবে দেখা দরকার।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে চুক্তি বাস্তবায়নের নতুন উদ্যোগ নেয়, জাতীয় কমিটি গঠন করে। মূল সমস্যা ভূমিসংক্রান্ত দ্বন্দ্ব মেটাতে নতুন কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ভূমি কমিশনের কাজ মোটেই এগোচ্ছে না। শান্তিচুক্তির বেশির ভাগ শর্তাবলি বাস্তবায়ন হলেও ভূমি সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এটিকে পুঁজি করে দেশি-বিদেশি এনজিও এবং আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থা পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বহু রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের ভৌগোলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। পাহাড়ের সশস্ত্র গ্রুপগুলো এখন বহু ভাগে বিভক্ত। তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ আধিপত্যপূর্ণ এলাকায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সব শ্রেণি ও পেশার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা উঠাচ্ছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, গ্রুপগুলো যে চাঁদা উঠায় বছরে তার পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এই চাঁদাবাজি বজায় রাখার জন্য এসব সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজ গ্রুপগুলো নতুন করে নানা ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে। পাহাড়ের সব শ্রেণির সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি। রাষ্ট্রের প্রশাসনকে বহু পক্ষের বহুমুখী দূরভিসন্ধি উপলব্ধি করতে হবে। দ্রুত ভূমিসংক্রান্ত সব বিরোধ নিষ্পত্তি করে শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন শেষ করতে হবে, যাতে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এটিকে পুঁজি করে বাংলাদেশের এত বড় একটি অনন্য অর্জনের মুখে কালি লেপন করতে না পারে।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক, নিউ অরলিনস, ইউএসএ

sikder52@gmail.com

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে