অনিয়মের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখায় কর্মরত কর্মচারীদের বদলি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মো. সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এফিডেবিট শাখার সবাইকে বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
তবে কতজনকে বদলি করা হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা বলতে পারেননি সাইফুর রহমান।
এর আগে গতকাল (সোমবার) সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখায় সিসি ক্যামেরা বসানোর পরও চলা অনিয়ম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এক মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার এক মামলা আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ৩ নম্বর ক্রমিকে থাকার কথা থাকলেও সেটি ৮৭ নম্বর ক্রমিকে দেখা যায়। এই অনিয়মের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তখন প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কী আর করবো বলেন? এফিডেভিট শাখায় সিসি ক্যামেরা বসিয়েও অনিয়ম রুখতে পারছি না।
এ সময় আপিল বেঞ্চে আরও চার বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অনেকেই মামলার তালিকা উপর-নিচ করে কোটিপতি হয়ে গেছেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের অনেক আইনজীবীও আদালতে আসেন না, বেতন বেশি হওয়ার কারণে এমন হচ্ছে! বেতন কম হলে তারা ঠিকই কষ্ট করে আদালতে আসতেন।
- আরও পড়ুন >> ওয়াসার পানি সুপেয় না হওয়ায় ৪ দফা সুপারিশ
- আরও পড়ুন >> ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে শিশুরা ক্ষমা করবে না : শেখ হাসিনা
এরপর প্রধান বিচারপতি তাৎক্ষণিক এক আদেশে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসানকে আপিল বিভাগে তলব করেন। তবে, মামলার সিরিয়াল করা নিয়ে মেহেদী হাসানের ব্যাখ্যায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। পরে ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।