বিতর্ক এবং সমালোচনার পরও এনআরসি ও নাগরিকত্ব বিল নিয়ে অনঢ় অবস্থানে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আবারও এ বিয়ষে স্পষ্ট করে বলেন, ২০২৪ সালের আগামী নির্বাচনের আগে গোটা দেশে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) হবে এবং সকল অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করে বিতাড়িত করা হবে।
এই ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে অমিত শাহ বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা কি আপনার খুড়তুতো ভাই? রাহুলবাবা বলেন, ওদের তাড়াবেন না। ওরা কোথায় যাবে? কী খাবে? কেন তাড়াব না? ওরা কি আপনার খুড়তুতো ভাই?’ এরই সঙ্গে অমিতের হুঙ্কার, ‘আপনারা নিশ্চিত থাকুন ২০২৪ এর ভোটের আগে সব অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।’
শুরু থেকেই এনআরসির তীব্র বিরোধীতা করে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতাকে উদ্দেশ্য করে অমিত বলেন, মমতার প্রশ্ন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশে এত দিন যারা ভোট দিলেন, সরকার গড়লেন, তাদের কেন নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে? অমিত জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূল নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেকোনো অবস্থান নিতে পারেন, তাতে সারা দেশে এনআরসি তৈরির কাজ আটকে থাকবে না। এটা হবেই।
বিজেপি নেতারা মানছেন, এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক দূর করতে পারেনি দল। সংসদের শীত অধিবেশন শেষ হতে আর সপ্তাহ দুই বাকি। এর মধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে বিদেশ থেকে আসা অ-মুসলিমদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশঙ্কা দুর করতে চায় নরেন্দ্র মোদি সরকার।
বিরোধীদের ধারণা, বিদেশি ও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে প্রবল জনমত গড়ে তুলে তাকে আগামী ভোটের প্রধান বিষয় করতে চাইছে বিজেপি। যে কারণে রাজনাথ সিংহও জনসভায় জানতে চাইছেন, ‘আপনার পাশের লোকটি বিদেশি কি না, আপনারা কি তা জানতে চান না?’
অমিত-রাজনাথদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘এ সব ওঁদের রাজনৈতিক স্লোগান। আমাদের রাজ্যে কী হবে বা হবে না, সেটা মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।’