ডাই অ্যামুনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম প্রতি কেজিতে নয় টাকা করে কমাচ্ছে সরকার। কৃষক পর্যায়ে ডিএপি সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা এবং ডিলার পর্যায়ে ২৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৪ টাকা নির্ধারণ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। শিগগিরই এটি কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়ায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ লাঘবের উদেশ্যে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপস্থাপন করলে তিনি সারের দাম কমানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দেন। যা বিজয়ের মাসে সরকারের এ পদক্ষেপ কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন মোতাবেক সব পর্যায়ে (অর্থাৎ ডিলার এবং কৃষক পর্যায়ে) ডিএপি সারের দাম প্রতিকেজি ৯ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে কৃষক পর্যায়ে ডিএপি সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা এবং ডিলার পর্যায়ে প্রতিকেজি ২৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ৮০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে সরকারের। প্রতি বছর সরকার ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়।
কৃষকদের উৎপাদন খরচ হ্রাস, সুষম সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ, কৃষিক্ষেত্রে গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার ফসফেট সারের মূল্য পুনরায় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান কৃষিমন্ত্রী।
- আরও পড়ুন >> গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে স্বর্ণজয়ী পিয়া
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ডিএপি সারে ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন (অ্যামোনিয়াম ফর্মে) এবং টিএসপি সারের সমপরিমাণ ফসফেট (অর্থাৎ ৪৬ শতাংশ P205) রয়েছে। ফলে এ সার প্রয়োগে ইউরিয়া ও টিএসপি উভয় সারের সুফল পাওয়া যায়। ফলে ইউরিয়া ও টিএসপি সারের ব্যবহার হ্রাস পেয়ে অর্থ ও শ্রম উভয়ের সাশ্রয় হয়। ডিএপি সারের দাম কমায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমবে।’