সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামীকাল বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল।
এ ব্যাপারে বোর্ড গঠন করা হলেও প্রতিবেদন পুরোপুরি তৈরি হয়নি। তাই নির্ধারিত দিনে তা আদালতে উপস্থাপনা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক।
বুধবার সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। কিন্তু বোর্ডের রিপোর্ট না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার তা আদালতে জমা দেয়া যাচ্ছে না।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার বিভিন্ন রোগব্যাধির রিপোর্টসহ সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা সভা করেন। মঙ্গলবার বোর্ডের প্রধানসহ ছয় চিকিৎসক খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। দীর্ঘ সময় তার কাছে থেকে সার্বিক খোঁজ নিয়েছেন। যা তার ফাইলে লিপিবদ্ধও করেছেন।
তবে সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন দাখিলের ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি বোর্ডের সদ্যস্যরা। এ কারণে আদালতে সময় প্রার্থনা করতে পারেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুসারে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পর্যালোচনা সভা করেন। কিন্তু তার কাছে এখনো মেডিকেল বোর্ড প্রতিবেদন দেয়নি। ফলে বৃহস্পতিবার আদালতে রিপোর্ট দাখিল হচ্ছে না।
প্রতিবেদন দাখিলে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট আদালতে দাখিলের নির্দেশ কপি হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে সোমবার। গত ২৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ তার মেডিকেল প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
- বাংলাদেশের জন্য ১০ হাজার হজ কোটা বাড়ানোর ঘোষণা
- স্বাধীনতার পর জাসদে ৫০ বছর পিছিয়ে যায় দেশ : শেখ সেলিম
মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিবেদন আদালতে দেয়ার বিষয়টি হাসপাতাল প্রশাসন দেখভাল করছে। আমরা রোগীর ফাইলে তার কী অবস্থা তা লিখে দিয়েছি। যতটুকু শুনেছি এটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তবে জমা দেয়া হবে না, সময় নেয়া হবে সেটা জানা নেই।
শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মূল সমস্যা হলো এখন জয়েন্টের ব্যথা। কারণ তিনি লন্ডন থেকে যে চিকিৎসা করেছেন সেই ওষুধই খাচ্ছেন। নতুন ওষুধ নিতে কিছুটা অনীহা দেখাচ্ছেন। তবে আমরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া ডায়েবেটিকস ও প্রেসার এখন আগের থেকে ভালো আছে।