ইংল্যান্ডে যেমন আছে বার্মি আর্মি, ভারতেও ভারত আর্মি। ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের সবচেয়ে বড় গোষ্ঠী এটি। তারাই প্রতি বছর বিশ্বসেরা ক্রিকেটার বাছাই করে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে।
২০১৯ সালে ভারত আর্মির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তালিকায় মনোনীত হয়েছিলেন মোট চারজন। এর মধ্যে নাম ছিল বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানেরও।
বাকি তিনজন হলেন-অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ, ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস আর নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন।
বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে স্বভাবতই এগিয়ে ছিলেন সাকিব। কেননা ২০১৯ সালটা ব্যাটে বলে স্বপ্নের মতো কেটেছে বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের। বিশেষ করে ওয়ানডে বিশ্বকাপে তো সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। ক্রিকেটের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচ খেলে ২ সেঞ্চুরি ও ৫ হাফসেঞ্চুরিতে সর্বমোট ৬০৬ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বল হাতেও কম যাননি। নেন ১১ উইকেট।
এমন একটি স্বপ্নময় বছর কাটানো সাকিব বছরের শেষ সময়ে এসে শুনেন দুঃসংবাদ। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করার অপরাধে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে দুই বছরের জন্য (এক বছর স্থগিত) নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। তারপরও বছরজুড়ে ঈর্ষণীয় পারফরম্যান্সের সুবাদে ভারত আর্মির আন্তর্জাতিক বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড় ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পান তিনি।
এর মধ্যে আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পোলেরও (ভোট) আয়োজন করে ভারত আর্মি। দর্শকরা সেখানে ভোট দিয়েছেন। আর সেই ভোটের ৮২ শতাংশই পড়েছে সাকিবের নামে। কেন উইলিয়ামসন ৬ এবং স্টিভ স্মিথ পান ৪ ভাগ ভোট।
অথচ ভারত আর্মি তাদের বর্ষসেরা হিসেবে নাম ঘোষণা করেছে ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের। যিনি কিনা মাত্র ৮ ভাগ ভোট পেয়েছেন। ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। ভোটের হিসাবে সাকিবের ধারে কাছেও ছিলেন না তিনি।
এমন ফল দেখার পর ভক্তদের মনে স্বভাবতই প্রশ্ন জেগেছে, যদি নিজেদের পছন্দমতোই সেরা বেছে নেবে ভারত আর্মি, তবে এই ভোটের আয়োজন কেন? কেন এই তামাশা?
অনেকেই বলছেন, এমনই হবে জানলে তারা ভোটেই অংশ নিতেন না। সাকিবের নামটি দেখেই তো নিজেদের সমর্থন দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সেই সমর্থনের কী মূল্য দিল ভারত আর্মি?