ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায়ও মামলার রায় লেখার বিষয় বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে আজ শনিবার তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু ঘটনার দ্রুততম রায় দেয়ায় বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা বহুগুণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। একের কাজে অন্যের হস্তক্ষেপ শান্তি ও ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করে। এ সময় আসামি আনা-নেয়ায় ঝুঁকি কমাতে ভার্চুয়াল কোর্ট স্থাপনে সরকারের চিন্তা রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর সকল নাগরিক যাতে আইগত সহায়তা পায় সেজন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা- ন্যাশনাল লিগাল এইড সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র ও নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরষ্কৃত করা হয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনিকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হয়েছিল। হত্যাকারীদের নানাভাবে মদদ দেয়া হয়েছিল। হত্যার বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি বিল জারি করা হয়। আমরা যারা ভুক্তভোগী ছিলাম আমাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ ছিল না।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
- আরও পড়ুন >> বানারীপাড়ায় একই পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার
- আরও পড়ুন >> মেঘনায় দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
- আরও পড়ুন >> প্রধানমন্ত্রী হুজুরদের সম্মানের আসনে বসিয়েছেন : নানক
এছাড়া এতে অতিথি হিসেবে একাধিক মন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা উপস্থিত আছেন। অন্যবার রাষ্ট্রপতি থাকলেও এবারই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে আছেন।
এর আগে শুধু অধস্তন আদালতের বিচারকদের অংশগ্রহণে পৃথকভাবে সম্মেলন হতো। তবে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সময় থেকে সব স্তরের বিচারকরা একত্রে কোনো সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।