মঞ্চে পারফর্মেন্সের পর সালমান ও ক্যাটরিনা স্টেজে কথা বলেন। এ সময় ক্যাটরিনা সালাম দিয়েই বলেন, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’ এরপর সালমান খান বাংলায় কথা বলেন।
সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফের দর্শক মাতানো ডুয়েট নাচের মধ্যে দিয়ে শেষ হল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
আজ রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ এই বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শোভা বাড়াতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্টেজ পারফর্ম করেছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফসহ ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীরা।
রাত ১০টা ৪মিনিট থেকে ১০টা ১৭ পর্যন্ত স্টেজে ছিলেন বলিউড কন্যা কাইফ। ক্যাটরিনার একক পারফর্মেন্সের পর স্টেজে আসেন অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ বলিউডের ভাইজান খ্যাত সালমান খান। রাত ১০টা ২৫মিনিটে হোমগ্রাউন্ড অব ক্রিকেট কাঁপাতে মঞ্চে নামেন তিনি। একক নৃত্য পরিবেশনার পর দ্বৈত নাচে আবারও মঞ্চে আসেন সালমান-ক্যাট জুটি।
মঞ্চে পারফর্মেন্সের পর সালমান ও ক্যাটরিনা স্টেজে কথা বলেন। এ সময় ক্যাটরিনা সালাম দিয়েই বলেন, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’ এরপর সালমান খান বাংলায় কথা বলেন।
দ্বৈত নাচের আগে মঞ্চে উঠে বক্তব্য প্রদান করেন সালমান ও ক্যাটরিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সালমান বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যই আজকের বাংলাদেশ। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, যিনি আমাদের বাংলাদেশে আসতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তাঁর কারণেই আজকে আমরা দু’জন (সালমান-ক্যাট) ঢাকায় আসতে পেরেছি।
এছাড়াও বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামকেও ভক্তিভরে স্মরণ করেছেন সালমান।
বক্তব্যের পর ১০টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৫২ মিনিট অবধি প্রায় দুই মিনিট ধরে দ্বৈত নাচ উপহার দেন সালমান-ক্যাট।
এর আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু হয় সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে মইদুল ইসলাম শুভ’র গান দিয়ে। শুভর পর স্টেজে আসেন নগর বাউলের জেমস ও ভারত বরেণ্য দুই সঙ্গীত শিল্পী সনু নিগম ও কৈলাস খের।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ অনুষ্ঠিত হলেও মাঠের লড়াই শুরু হবে আগামী ১১ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডার। এবারের বিপিএলে অংশ নিচ্ছে মোট সাতটি দল।
বিশেষ এই আসরে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অধীনেই পরিচালিত হচ্ছে প্রত্যেক দল। প্রতিটি দলের টিম ডিরেক্টর বিসিবি নির্বাচিত করে দিয়েছে।