রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মনে করেন, আর্থিক সীমাবদ্ধতাই বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণের সবচেয়ে বড় বাধা। দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়নে অর্থায়ন বিষয়ে এশিয়া প্যাসিফিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) শততম বার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘের ইএসসিএপি, আইসিসি, এডিবি ও এফআইডির সঙ্গে আইসিসি বাংলাদেশ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি নির্দিষ্ট দেশের পক্ষে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জোগান দেয়া সম্ভব নয়। এজন্য আমরা উন্নত দেশসহ অন্য দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সক্রিয় করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ সবচেয়ে সফলতম দেশ। সরকার এজেন্ডা ২০৩০ বা এসডিজি অর্জনেও সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশসহ অন্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো অর্থনৈতিক ব্যবধান।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে এবং বাণিজ্য ও শিল্পনীতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। এজন্য ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিদেশি ও দেশীয় টেকসই বিনিয়োগ আকৃষ্টে বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এ ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইসিসি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহবুব রহমান এবং জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও ইএসসিএপি নির্বাহী এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ড. অরমিদা সালসিয়া অ্যালিসজাবানা।