এসএ গেমস : বাংলাদেশের প্রাপ্তি রেকর্ড ১৯ সোনাসহ ১৩৮ পদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এসএ গেমস

পর্দা নামল এসএ গেমসের ত্রয়োদশ আসরের। এবারের আসরে বাংলাদেশ ২৫টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে রেকর্ড ১৯টি সোনা জিতেছে। রূপা জিতেছে ৩৩টি। ব্রোঞ্জ ৮৬টি। সব মিলিয়ে ১৩৮টি পদক পেয়েছে বাংলাদেশ।

১৯টি সোনার মধ্যে আর্চারি জিতেছে ১০টি। কারাতে থেকে এসেছে ৩টি। ভারোত্তোলন থেকে ২টি। ফেন্সিং থেকে ১টি। তায়কোয়ানন্দো থেকে ১টি। মেয়েদের ক্রিকেট থেকে ১টি ও ছেলেদের ক্রিকেট থেকে ১টি।

universel cardiac hospital

এবারের আসরে বাংলাদেশের ২৫টি ফেডারেশন অংশ নিলেও তার মধ্যে পাঁচটি ফেডারেশন কোনো পদক জিততে পারেনি। ফেডারেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে ভলিবল ফেডারেশন, বাস্কেটবল ফেডারেশন, সাইক্লিং ফেডারেশন, টেনিস ফেডারেশন ও স্কোয়াশ র‌্যাকেটস ফেডারেশন।

বাস্কেটবল

বাংলাদেশ এবারের এসএ গেমসে বাস্কেটবল ডিসিপ্লিনে নারী ও পুরুষ বিভাগে অংশ নেয়। দুই বিভাগে প্রশিক্ষক, ম্যানেজার, কর্মকর্তা ও খেলোয়াড় মিলিয়ে ৩৩ জন অংশ নেয়। এবারই প্রথম নারী বাস্কেটবল দল অংশ নেয়। তাদের নিয়ে কোনো প্রত্যাশা না থাকলেও ছেলেদের নিয়ে ছিল। কিন্তু তারা সেটা মেটাতে পারেনি।

১৯৮৭ সাল থেকে বাংলাদেশ বাস্কেটবল দল অংশ নিচ্ছে এসএ গেমসে। ১৯৯১, ১৯৯৫ সালে খালি হাতে ফিরলেও ২০১০ সালে ঘরের মাঠে ব্রোঞ্জ জিতেছিল পুরুষ বাস্কেটবল দল। এরপর ২০১৬ সালের মতো এবারও দেশকে কোনো পদক উপহার দিতে পারেনি এই ফেডারেশন।

ভলিবল

এসএ গেমসে ভলিবল দল নারী, পুরুষ ও বিচ ভলিবল (পুরুষ) তিনটি ইভেন্টে অংশ নেয়। কোচ, প্রশিক্ষক ও খেলোয়াড় মিলিয়ে মোট ৩৮ জনের বহর যায় নেপালে। কিন্তু তারাও কোনো পদক উপহার দিতে পারেনি বাংলাদেশকে।

১৯৮৭ সাল থেকে অংশগ্রহণ শুরু করে ভলিবল দল। সেবার একটি ব্রোঞ্জ জিতে। এরপর ১৯৯১ সালে তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য ২টি ব্রোঞ্জ জিতে। ১৯৯৩ সালে জিতে আরো একটি ব্রোঞ্জ। সবশেষ ১৯৯৯ সালে ব্রোঞ্জ জিতেছিল ভলিবল ফেডারেশন। এরপর গেল ২০ বছরেও বাংলাদেশকে কোনো পদক উপহার দিতে পারেনি।

সাইক্লিং

দুইজন ম্যানেজার, তিনজন প্রশিক্ষক ও ১৪ জন খেলোয়াড়সহ সাইক্লিং ফেডারেশন থেকে মোট ১৯ জনের বহর যায় নেপালে। কিন্তু তারাও কোনো পদক উপহার দিতে পারেনি বাংলাদেশকে।

২০০৬ সাল থেকে সাইক্লিং দল অংশ নিচ্ছে এসএ গেমসে। ২০১০ সালে ঘরের মাঠে জিতেছিল ১টি ব্রোঞ্জ। এরপর ২০১৬ সালের মতো এবারও কোনো পদক পায়নি। দশ বছর ধরে এসএ পদক বঞ্চিত এই ফেডারেশনটি।

টেনিস

টেনিসে ম্যানেজার, প্রশিক্ষক ও খেলোয়াড়সহ মোট ১১ জন অংশ নেয়। কিন্তু তারাও কোনো পদক উপহার দিতে পারেনি বাংলাদেশকে।

১৯৯১ সালে প্রথমবার অংশ নিয়েই ২টি ব্রোঞ্জ জিতেছিল টেনিস দল। ১৯৯৩ সালে খালি হাতে ফেরার পর ১৯৯৫ সালে জিতে আরো একটি ব্রোঞ্জ। মাঝে লম্বা সময় বিরতির পর ২০১৬ সালে টেনিস দল অংশ নেয় গৌহাটি ও শিলংয়ে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে। কিন্তু কোনো পদক পায়নি। এবারও অংশ নিয়ে খালি হাতে ফিরেছে তারা।

স্কোয়াশ

একজন ম্যানেজার, একজন কোচ কাম ম্যানেজার ও চারজন খেলোয়াড়সহ মোট ৬ জন অংশ নেয় এই ফেডারেশন থেকে। আশা জাগিয়েও তারা কোনো পদক দিতে পারেনি বাংলাদেশ।

১৯৮৯ সাল থেকে স্কোয়শ টিম অংশ নিচ্ছে এসএ গেমসে। ২০০৪ সালে ছিল পদক শূন্য। ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৬ সালে ব্রোঞ্জ জিতেছিল তারা। কিন্তু এবার ফিরেছে খালি হাতেই।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে