আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। তাদের রাজনীতি ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামের মুখে দুর্নীতিবিরোধী কথা ভূতের মুখে রাম নাম নেয়ার সমান। ক্ষমতায় থাকাকালে ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। বিএনপির সময়ে হাওয়া ভবন ছিল দুর্নীতি ভবন, মানুষ বলে খাওয়া ভবন। ইতিমধ্যে তাদের দুই উইকেট পড়ে গেছে। আরও উইকেট পড়ার অপেক্ষায়।
আজ মঙ্গলবার খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
কর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ছবি টানিয়ে বিলবোর্ড প্রদর্শন করে নেতা হওয়া যায় না। নেতা হতে হলে নেতৃত্বের যোগ্যতা, কর্মীদের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। মঞ্চ যত বাড়ছে, নেতাও তত বাড়ছে। নেতা যত বাড়ছে, কর্মী তত কমছে। এখন পোস্টার-ব্যানার লাগাতে কর্মী খুঁজে পাওয়া যায় না। ভাড়া করা লোক দিয়ে পোস্টার লাগাতে হয়। কর্মীরা এখন নেতা, কে লাগাবে পোস্টার?
নেতাদের উদ্দেশ্য করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগে দূষিত রক্তের প্রয়োজন নেই। নিজের ঘরের লোক দিয়ে কমিটি করবেন না। দুঃসময়ের কর্মীদের বাদ দিয়ে সুবিধাবাদীদের নেতা বানাবেন না। দুঃসময়ে এ সব বসন্তের কোকিলেরা হারিয়ে যাবে। হাজার পাওয়ারের বাল্ব দিয়েও এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সারা দেশে শুদ্ধি অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ডাইরেক্ট অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। খুলনায় কেউ গ্রেফতার হচ্ছে না বলে ভাববেন না। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সব কিছু জানেন। চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীরা সাবধান। সারা দেশে জাল বিছানো হয়েছে। কখন কে ধরা পড়ে বলা মুশকিল। আপনারা সতর্ক হয়ে যান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য প্রধান বিচারপতির এজলাসে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন তা নজিরবিহীন। এ ঘটনা থেকে বোঝা যায় বিএনপি কতটা অসহনীয়।
তিনি বলেন, দল ক্ষমতায় আসার পর যারা অনুপ্রবেশ করেছে তারাই টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ সব অনুপ্রবেশকারীর হাত থেকে দলকে মুক্ত রাখতে হবে।