মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কেউ রক্ষা পাবে না : শেখ হাসিনা

মত ও পথ প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কেউ রক্ষা পাবে না। যেকোনো হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ যতবড় শক্তিশালী হোক, কেউ ছাড় পাবে না।’

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার প্যান প্যাসেফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষার জন্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনেক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার হচ্ছে। এখন মানুষ বিচার পাচ্ছে। কিন্তু ৭৫-এর পর আমার বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। তিনি বলেন, যুদ্ধ করে যারা দেশ স্বাধীন করেছে, খুনিরা তাদেরকেই হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে কোনো মানবাধিকার ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট একটি পরিবারের এতগুলো মানুষকে হত্যা করা হলো অথচ তার বিচার হলো না! ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে একসময় যারা দম্ভ করে বলেছিল, এই হত্যার বিচার কেউ করতে পারবে না, তাদের রক্ষা করেছিল জিয়াউর রহমান। জিয়া শুধু খুনিদের রক্ষাই করেনি, তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। জিয়া ও তার স্ত্রী খুনিদের রাষ্ট্রপতির পদে নির্বাচন করিয়েছে। ভোট চুরি করে তাদের বিরোধী দলের নেতার চেয়ারে বসানো হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া ছিলেন বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করার পর এ দেশে অনেক মানুষ তার স্বজন হত্যার বিচার পায়নি। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছে, তাদের হত্যা করে রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের রক্ষা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন। সম্প্রতি অনেকগুলো অপরাধের দ্রুত বিচার হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দেশের তরুণরা মানুষের মানবাধিকার রক্ষা করবে। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে তরুণরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে মানবাধিকারের ওপর থিম সং পরিবেশন করা হয় এবং মানবাধিকারের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

জাতিসংঘ ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বরকে ‘মানবাধিকার দিবস’ ঘোষণা করে। সেই থেকে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর ‘মানবাধিকার দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। মানবাধিকার দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা’।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে