ভারত ঐতিহাসিকভাবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সেখান থেকে পদস্খলন হলে ভারতের যে ঐতিহাসিক অবস্থান, তা দুর্বল হয়ে যাবে। ভারতের লোকসভায় বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বিপুল ভোটে পাস হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গত সোমবার ভারতের লোকসভায় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশসহ তিনটি প্রতিবেশী দেশের সংবিধানকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, এই দেশগুলোর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলেই সেখানে অন্য ধর্মের মানুষরা নিপীড়িত হচ্ছেন।
ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ড. মোমেন বলেন, আমাদের দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন, ধর্মীয় নির্যাতন হয় না। আমাদের দেশে ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার। আমাদের দেশে অন্য ধর্মের কেউ নির্যাতিত হয় না। সম্প্রতি বিদেশ থেকে আমাদের অনেক লোক দেশে ফিরে আসছে তার কারণ হচ্ছে আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছি। এখানে সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকারের অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত নেন, তারা অন্য ধর্মের লোক। আমরা সব ধর্মের মানুষকে সমানভাবে একই দৃষ্টিতে দেখি, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে। কে কোন ধর্মের সেটা নিয়ে আমরা কোনো বিচার করি না। বিচার করি যে, সে বাংলাদেশের নাগরিক কিনা বা তার যোগ্যতার মাপকাঠি। আমাদের সব রকমের চাকরি-বাকরিতে সব ধর্মের লোক রয়েছে, অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে আমরা তাদের দেখি।
- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স বন্ধসহ ইউজিসির ১৩ নির্দেশনা
- সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে খালেদা জিয়ার মেডিকেল প্রতিবেদন
‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে’ ভারতের দেয়া এ তথ্য সত্য নয় মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা তথ্য দিয়েছেন তারা সত্য বলেননি এবং যারা বলেছেন তারা সত্য কথা বলেননি। আমি আশা করব, আমাদের দেশে যারা সংখ্যালঘু নেতৃত্বে রয়েছেন তারাই এই বিষয়ে কথা বলবেন। আমি আগেও বলেছি যে, ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ, দুই দেশের মধ্যে এখন অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক চলছে, যা সোনালি অধ্যায় নামে পরিচিত। আমাদের দেশের মানুষ আশা করে ভারত এমন কিছু করবে না- যা আমাদের জনগণের দুশ্চিন্তার কারণ হবে।