ঢাকায় পাতালরেল নির্মাণে ৩ দশমিক ৩২৬ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি ডলার সমান ৮৬ টাকা হলে বাংলাদেশি মুদ্রায় হয় ২৮৬ কোটি টাকা।
মেট্রোরেল-৫ প্রকল্পের টেকসই মূল্যায়ন প্রাথমিক প্রস্তুতিমূলক সম্ভাব্যতা যাচাই (প্রিপারেটরি ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি) কাজে এই ঋণ দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় পাতালরেল নির্মাণ করা হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই ঋণচুক্তিসই হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ ও সংস্থাটির পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ চুক্তিতে সই করেন।
যানজটমুক্ত রাজধানী গড়তে উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের আওতায় এ অংশটিতে ২০১৯ সালের মধ্যেই ট্রেন চলাচল উন্মুক্ত করতে চায় সরকার।
এমআরটি-৬ এর মতোই দ্বিতীয় ধাপের এমআরটি-৫ রুট মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।
আমিন বাজার থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত এমআরটি ৫-এর আওতায় ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার পাতালরেল নির্মিত হবে। এ কাজের জন্য সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে সংস্থাটি।
- অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের ‘মনোনীত সাংসদ’ হিসেবে লোকসভায় প্রবেশ বন্ধ হচ্ছে
- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স বন্ধসহ ইউজিসির ১৩ নির্দেশনা
এই মেট্রোরেল হবে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার, গাবতলী, মিরপুর-১, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২, নতুনবাজার হয়ে ভাটারা পর্যন্ত। এর দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার। এই রুটটি এমআরটি লাইন-৫ নামে পরিচিত হবে।
এই প্রকল্পে খরচ ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। শেষ হবে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর মাসে। এই প্রকল্পেই জাপানের সাহায্য সংস্থা জাইকাও অর্থায়ন করবে।