এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বড়সড় ধাক্কা খেলো রংপুর রেঞ্জার্স। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ছুড়ে দেয়া ১৭৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ার করতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৬৮ রানেই গুটিয়ে গেছে মোহাম্মদ নবির দল। কুমিল্লা জিতেছে ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে।
মোহাম্মদ শাহজাদ (১৩), মোহাম্মদ নাইম (১৭), জহুরুল ইসলাম (৫), ফজলে মাহমুদ (১), লুইস গ্রেগরি (০), তারপর অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি (১১)- বড় রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান যখন এমন ব্যাটিং করেন, তখন জয় নিয়ে ভাবার আসলে উপায় থাকে না।
রংপুর রান তাড়ায় নেমে একবারের জন্যও জয়ের কথা ভাবতে পারেনি। কোনোমতে গড়িয়ে গড়িয়ে এগিয়েছে। চোটে জাকির হাসান ব্যাটিংয়ে নামতে না পারায় শেষপর্যন্ত তারা থেমেছে ১৪ ওভারে, ৬৮ রানে।
কুমিল্লার পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল আল আমিন হোসেন, ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। ২টি করে উইকেট নেন সৌম্য সরকার আর সানজামুল ইসলাম।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সও। রংপুর রেঞ্জার্সের বোলারদের তোপে রীতিমত কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল দলটি। কিন্তু অধিনায়ক দাসুন শানাকা শেষটায় এসে ভয়ংকর চেহারায় হাজির হলেন।
২৩ বলে ফিফটি, তারপর ইনিংসের একদম শেষ ওভার পর্যন্ত দলকে একাই টেনে নেন লঙ্কান এই অলরাউন্ডার। মিরপুরে তার বিধ্বংসী ব্যাটে ভর করেই ৭ উইকেটে ১৭৩ রানের বড় পুঁজি পায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা। ইনিংসের প্রথম বলেই আঘাত হানেন রংপুর অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। ইয়াসির আলি রাব্বিকে গোল্ডেন ডাকে বোল্ড করে ফেরান আফগান এই অফস্পিনার। সেই ধাক্কা কিছুটা সামলে ওঠেন সৌম্য সরকার আর মাহিন্দা রাজাপাকসে (১৫)।
১৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৬ রানের এক ঝড় তুলে মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হন সৌম্য। ডেভিড মালানও টি-টোয়েন্টির মাপে খেলতে পারেননি। ২৩ বলে করেন ২৫ রান। সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ১৯।
- বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেটকে হারিয়ে চট্টগ্রামের শুভসূচনা
- মানবতাবিরোধী অপরাধ : রাজশাহীর টিপু সুলতানের মৃত্যুদণ্ড
৮৯ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল কুমিল্লা। মনে হচ্ছিল, ১৩০-১৪০ করাই দায় হয়ে পড়বে। সেখান থেকে দান ঘুরিয়ে দেন শানাকা। কুমিল্লা অধিনায়ক ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ছিলেন উইকেটে। ৩১ বলে ৩ বাউন্ডারির সঙ্গে ৯টি ছক্কার মারে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
রংপুর রেঞ্জার্সের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মোস্তফিজ, সঞ্জিত সাহা আর লুইস গ্রেগরি। মোস্তাফিজ প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১২ রান খরচায় ২টি উইকেট নেয়া মোস্তাফিজ শেষ ওভারেই দেন ২৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ১০৫ রানে জয়ী কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ইনিংস: ১৭৩/৭ (২০ ওভার)
(ইয়াসির আলী ০, ভানুকা রাজাপক্ষে ১৫, সৌম্য সরকার ২৬, ডেভিড মালান ২৫, সাব্বির রহমান ১৯, দাসুন শানাকা ৭৫*, মহিদুল ইসলাম অঙ্কন ২, আবু হায়দার রনি ৬, সানজামুল ইসলাম ০*; মোহাম্মদ নবী ১/১৪, জুনায়েদ খান ০/৪৭, সঞ্জিত সাহা ২/২৬, মোস্তাফিজুর রহমান ২/৩৭, তাসকিন আহমেদ ০/২৩, লুইস গ্রেগরি ২/২৫)।
রংপুর রেঞ্জার্স ইনিংস: ৬৮/১০ (১৪ ওভার)
(মোহাম্মদ শাহজাদ ১৩, মোহাম্মদ নাঈম ১৭, জহুরুল ইসলাম ৫, ফজলে মাহমুদ ১, লুইস গ্রেগরি ০, মোহাম্মদ নবী ১১, সঞ্জিত সাহা ০, জুনায়েদ খান ৩, তাসকিন আহমেদ ১, মোস্তাফিজুর রহমান ৮*, জাকির হাসান –অ্যাবসেন্ট হার্ট; মুজিব উর রহমান ১/৭, আবু হায়দার রনি ১/১৯, আল-আমিন হোসেন ৩/১৪, দাসুন শানাকা ০/৬, সৌম্য সরকার ২/১২, সানজামুল ইসলাম ২/৪, সাব্বির রহমান ০/৪)।
ম্যাচসেরা: দাসুন শানাকা (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)