বিএনপির মাইনরিটি নির্যাতন পাকিস্তানের থেকেও ভয়ঙ্কর: কাদের

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুলের বক্তব্য শুনে এটাই মনে হয় ‘বানরে সঙ্গীত গায়, শীলা পাথরে ভাসে’। আমি হাসব কি কাঁদব ভেবে পাই না। বিএনপি নাকি মাইনরিটি বান্ধব সরকার ছিল। এ কথা বললে কি কেউ বিশ্বাস করে? ২০০১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন যেভাবে মাইনরিটি নির্যাতন, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন করেছে তা শুধুমাত্র ‘৭১ এর বর্বরতার সাথে তুলনীয়। তাদের মাইনরিটি নির্যাতন পাকিস্তানের থেকেও ভয়ঙ্কর। সেই সময় নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতায় বিএনপি নতুন রেকর্ড স্থাপন করে।

আজ বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী মাইনরটি বান্ধব সরকার হল শেখ হাসিনার সরকার। এই সরকারের আমলে সংখ্যালগুরা সুখে ও শান্তিতে আছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। সবচেয়ে বড় কথা শেখ হাসিনা মাইনরিটিদের সবচেয়ে আপনজন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালিরা সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছিল হতাশা। পরে বঙ্গবন্ধুর রক্তে ভেজা মাটিতে ঐক্যের পতাকা নিয়ে আসেন শেখ হাসিনা। তিনি আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেন। তিনি বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন। শেখ হাসিনা পৃথিবীর আলোচিত ২ জন প্রধানমন্ত্রীর একজন। বিশ্বের সৎ তিনজন প্রধানমন্ত্রীর একজন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য পলিটিশিয়ানের সীমানা ফেরিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বে সারা দেশে চলমান শুদ্ধি অভিযান সফল করব। এখন দরকার ক্লিন ইমেজের পার্টি। আমরা দূষিত রক্ত রাখব না। বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতাদেরকে কর্মী বান্ধব হতে হবে। ঘরের ভিতর ঘর করা যাবে না। পকেট কমিটি গঠন করা যাবে না। আওয়ামী লীগে খারাপ লোকের দরকার নাই। দলের মাঝে কোনো টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, জমিদখলকারী, সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীর দরকার নেই।

তিনি বলেন, দল ভারি করতে খারাপ লোককে দলে আনা যাবে না। মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা আপনাদেরকে নেতা ও এমপি বানিয়েছেন নিজের পকেটের উন্নয়নের জন্য নয়, জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য।

জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি

জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন শেষে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে কাউন্সিল অধিবেশনের জন্য প্রস্তুতি থাকলেও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্মেলন স্থলেই নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতা রাখার পূর্বে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী প্রার্থীদের তালিকা নিয়ে চলে যান সার্কিট হাউজে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করার পর পুনরায় মঞ্চে এসে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। বক্তব্য শেষে বর্তমান কমিটিকে বিলুপ্ত করে নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন।

এতে বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপিকে সভাপতি এবং সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানকে জাতীয় কমিটির সদস্য হিসাবে ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে