সরকার আগের মতো আগুনের খেলা শুরু করেছে : রিজভী

মত ও পথ প্রতিবেদক

রিজভীর সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সরকার বর্তমানে নতুন কোনো ইস্যু পাচ্ছে না। তাই আগের মতো আবারও আগুনের খেলা শুরু করেছে’।

আজ শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, “বুধবার মধ্যরাতে ভোট ডাকাত সরকার তাদের ‘খয়ের খাঁ’ পুলিশকে দিয়ে আমাদের ১৩৫ জন নেতাকে আসামি করে মোটরসাইকেল পোড়ানোর উদ্ভট দুই মামলা করেছে। হাইকোর্ট এলাকায় বেওয়ারিশ দুই মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা।”

তিনি বলেন, ‘অবৈধ সরকারের চারিদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে দেখে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আবারও উদ্ভট, বানোয়াট, আজগুবি মামলার প্লাবন বইয়ে দিচ্ছে। সরকারের মতো পুলিশও এখন গায়েবি তথ্য উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে সিনিয়র নেতাদের নামে একের পর এক মামলা দিয়েই যাচ্ছে। মৃত ব্যক্তি, কারাবন্দি নেতাদেরও গায়েবি মামলায় পাইকারি আসামি করা হচ্ছে।’

রিজভী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য সরকারের বিশেষ বাহিনীর পরিকল্পিত এ অগ্নিসংযোগ। ঘটনার পর ডিএমপি রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এস এম শামীম সাংবাদিকদের বলেছেন, কারা, কী উদ্দেশ্যে গাড়িগুলোতে আগুন দিয়েছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও মোটরসাইকেল তিনটির মালিকানা কেউ দাবি না করায় মনে হচ্ছে আগুনের ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক। ঘটনার পর এখনও বেওয়ারিশ মোটরসাইকেলগুলো মালিক খুঁজে পায়নি পুলিশ! অথচ মামলা হয়েছ ১৩৫ জন নেতার নামে। কী হাস্যকর মামলা যে, তিনটি মোটরসাইকেল পোড়াতে ১৩৫ নেতার প্রয়োজন পড়লো। সবাই এটা জানেন যে, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের লোকজন এবং সরকারের বিশেষ বাহিনীর পরিকল্পিত একেকটি ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির নামে মামলা দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টের সামনে মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার ঘটনায় ১৩৫ জনের মধ্যে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার বহুদিন ধরে জেলে। গত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজ কারাগারে অথচ তাকেও আসামি করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, জয়নাল আবেদিন (খালেদা জিয়ার আইনজীবী), শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক খান, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কেউ বাকি নেই।

রিজভী বলেন, ‘সরকারকে বলব এসব করে লাভ নেই। এবার ক্ষমতা ছাড়ার জন্য প্রস্তুত হন। এ মামলা সুপরিকল্পিত এবং গায়েবি মামলা। এসব ঘটনায় যে সরকারের লোকরাই জড়িত সেটির নজীর অতীতে অনেক রয়েছে, তাদের লোকরা সেটি স্বীকার করেছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে