রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা অফিস ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নামের একটি সংগঠন। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় এ হামলা করা হয়।
আজ শুক্রবার বিকেল থেকে সংগঠনটির সদস্যরা মগবাজারে অবস্থিত দৈনিক সংগ্রামের কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় পত্রিকাটির কয়েকটি কপি আগুনে পোড়ানো হয়। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে অফিসে প্রবেশ করে সম্পাদককে মারধর করে ভিতরে ভাঙচুর করা হয়।
এরপর পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাতিরঝিল থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মত ও পথকে বলেন, বৃহস্পতিবার সংগ্রাম পত্রিকা তাদের প্রথম পেজে কাদের মোল্লাকে শহীদ বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এটার অপরাধে আমরা তার অফিসে গিয়ে কাদের মোল্লাকে কেন শহীদ বলা হয়েছে এটার কারণ জানতে চাই । তাকে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলি। তিনি উপস্থিত সবার সামনে ক্ষমা চান। পরে আমরা সংগ্রাম পত্রিকা অফিস তালাবদ্ধ করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, সংগ্রাম পত্রিকা বন্ধের জন্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে পত্রিকাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। এছাড়া এ পত্রিকার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। এরই মধ্যে আমরা সম্পাদককে পুলিশি হেফাজতে দিয়েছি।
মামুন বলেন, পত্রিকা অফিসে আমরা জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রম হয় সেটার প্রমাণ পেয়েছি। এছাড়া শিবিরের সদস্য ফরম, জামায়াতি ইসলামের রুকন ফরম এবং জামায়াতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দাওয়াতের কার্ড পাওয়া গেছে।
ভাঙচুর করেছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যখন অফিসের ভিতরে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলি তখন তিনি আমাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। আমরা জামায়াত শিবিরের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে আপোষ করব না সে যেই হোক তাকে প্রতিহত করব। আমরা জামায়াত শিবির সংশ্লিষ্ট যেসব কাগজপত্র পেয়েছি, যেসব প্রমাণ পেয়েছি সেসব ভাঙচুর করেছি।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার মত ও পথকে বলেন, জানতে পেরেছি মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষ্যের একটি সংগঠন তাদের অফিসে ভাঙচুর করেছে। আমরা সম্পাদককে উদ্ধার করে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি।