ব্রিটেনে দুই বছরের ব্যবধানে ফের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ। নির্বাচনে গতবারের চেয়ে ৪২ আসন কম পেয়েছে বিরোধীদল লেবার পার্টি। তবে লেবার পার্টির এমন দৈনদশার মধ্যেও চমক দেখিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চার নারী।
নির্বাচনে লেবার পার্টির হয়ে নিজ নিজ আসন থেকে জয় পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক, রুশনারা আলী, রূপা হক ও আফসানা বেগম।
বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর লেবার পার্টি কোনো নির্বাচনে এতোটা খারাপ ফলাফল করেনি। কিন্তু এর মাঝেও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই প্রার্থীরা শুধু জয়লাভই করেননি, প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের তারা বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন। যে চারটি আসনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা লড়েছেন, সেখানে তাদের নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বীরা তাদের অর্ধেক ভোটও পাননি।
টিউলিপ সিদ্দিক
হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন এলাকা থেকে জয় পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি ২৮ হাজার ৮০ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির জনি লাক পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৯২ ভোট।
টিউলিপ সিদ্দিক জয়লাভ করলেও গতবারের চেয়ে তিনি ১০ শতাংশ ভোট কম পেয়েছেন। অন্যদিকে তার প্রতিন্দ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থীও গতবারের চেয়ে আট শতাংশ ভোট কম পেয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার বড় মেয়ে তিনি। এনিয়ে তিনি টানা তিনবার নির্বাচনে জয়লাভ করলেন।
রুশনারা আলী
বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন থেকে জয়লাভ করেছেন রুশনারা আলী। তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৫২ ভোট। অন্যদিকে তার প্রতিন্দ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী নিকোলাস স্টোভোল্ড পেয়েছেন ৬ হাজার ৫২৮ ভোট।
প্রদত্ত ভোটের প্রায় ৭৩ শতাংশ পেয়েছেন রুশনারা আলী। তিনি ২০১০ সাল থেকে ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত এমপি।
আফসানা বেগম
আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আফসানা বেগম লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন পপলার অ্যান্ড লাইমহাউজ আসন থেকে।
তিনি পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৬০ ভোট এবং কনজাসারভেটিভ প্রার্থী পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৫৬ ভোট। যদিও উভয় প্রার্থীর ভোট গতবারের চেয়ে চার শতাংশ কমেছে।
- ব্রিটেনের নির্বাচনে টিউলিপ-রূপার হ্যাটট্রিক জয়
- বঙ্গবন্ধু বিপিএল : সিলেটের বিপক্ষে রাজশাহীর দাপুটে জয়
রূপা হক
লন্ডনের আরেকটি আসন ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন থেকে জয়লাভ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রূপা হক। তার প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে ২৮ হাজার ১৩২, আর কনজারভেটিভ প্রার্থী জুলিয়ান গ্যালান্ট ১৪ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়েছেন।
এক্ষেত্রে উভয় প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট গতবারের কমেছে। রূপা হকের ভোট কমেছে ৮.৪ শতাংশ এবং কনজারভেটিভ প্রার্থীর ভোট কমেছে ৭.৭ শতাংশ। ২০১৫ ও ২০১৭ সালে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন রূপা।