জনবল সংকটে সারাদেশের ১০৪টি রেলস্টেশন বন্ধ রয়েছে। গত পাঁচ দশকে রেলে কর্মী সংখ্যা বাড়ার বদলে তা অর্ধেকের বেশি কমেছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নর্থবেঙ্গল জার্নালিস্ট ফোরামের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান।
রেলমন্ত্রী বলেন, সত্তরের দশকে রেলের লোকবল ছিল ৭০ হাজারের উপরে। কমতে কমতে এখন তা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজারে। যার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শতাধিক রেলস্টেশন।
রেলের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রেলের নাজুক অবস্থা দূর করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোর সঙ্গে ব্রডগেজ ও ডুয়েল গেজ লাইন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে দ্রুতগতির ট্রেনও। যার ফলে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উন্নয়ন হচ্ছে। এ উন্নয়নের রেলের উপরে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে।
উত্তরবঙ্গে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে রেলমন্ত্রী বলেন, আগে ১১টি ট্রেন দৈনিক আপ-ডাউন করতো। সেখানে এখন ২১টি ট্রেন আপ-ডাউন করে। কিন্তু রেললাইন বৃদ্ধি পায়নি। শুধু টঙ্গী থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত একটি রেললাইন ব্যবহার করতে হচ্ছে। সেখানে অন্যান্য ট্রেনও চলাচল করে। এ কারণেই উত্তরাঞ্চলের ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয় ঘটে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল, রংপুর বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাকসুদুর রহমান, নর্থ বেঙ্গল জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।