মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের অভিযোগ গঠন করেছে প্রতিনিধি পরিষদ। শুক্রবার প্রতিনিধি পরিষদে তদন্ত কমিটির বৈঠকে ক্ষমতার অপব্যবহারের দু’টি অভিযোগে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগের পক্ষে ২৩টি ভোট পড়ে। আর বিপক্ষে ভোট দেন ১৭ জন। কঠোর পার্টি লাইন অনুসারে এদিন তদন্ত কমিটির রিপাবলিক্যান এবং ডেমেক্র্যাট সদস্যরা তাদের ভোট দেন।
এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আগামী সপ্তাহে প্রতিনিধি পরিষদ বা মার্কিন কংগ্রেসে ইমপিচমেন্টের বিষয়ে ভোট হবে।
কংগ্রেসে বর্তমানে ট্রাম্পের বিরোধীরা সংখ্যাগুরু। ফলে অধিকাংশ কংগ্রেস সদস্য ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে পরের পর্যায়ে তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে সিনেটে। প্রেসিডেন্টকে পদ থেকে অপসারণের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সিনেটরের সম্মতি প্রয়োজন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার উদ্যোগ এই প্রথম নয়। বিল ক্লিনটন সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট যাকে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সেটা ১৯৯৮ সালের ঘটনা। অ্যান্ড্রু জনসন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ। সেটা ১৮৬৮ সালের ঘটনা। তবে তাদের কাউকেই সেনেট দোষী সাব্যস্ত করেনি।
- ‘ভারতের এনআরসি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি’
- গাজার খ্রিস্টানদের বেথেলহেম-জেরুজালেম যেতে ইসরাইলের বাঁধা
- ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন মুসলিমদের প্রতি ‘বৈষম্যমূলক’ : জাতিসংঘ
সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের ওই ফোনালাপ ফাঁস হলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় উঠে। ফাঁস হওয়া ফোনালাপে দেখা যায়, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। ওই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি সামনে আসে। তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তদন্ত শুরু করে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ।
তবে শুরু থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এটিকে ডেমোক্র্যাটদের তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন। এছাড়া ট্রাম্পের দাবি, তাকে অভিশংসনের ক্ষমতা বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেই।