নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, অনেকেই মনে করেন ইভিএমে এক মার্কায় ভোট দিলে অন্য মার্কায় চলে যাবে, এ ধারণা সঠিক নয়। এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
নগরীর সার্কিট হাউজে শনিবার চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পরে এলাকায় পোস্টার থাকার কথা নয়। উপনির্বাচনে এমন কোনো পরিস্থিতি চাই না, যাতে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে। ইভিএম পদ্ধতির নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের সুযোগ নেই। ভোট শুরু হওয়ার আগে কেউ ইভিএম চালু করতে পারবে না।
ভোটের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলার যাতে কোনো প্রকার অবনতি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, বিজিবি-৮ এর পরিচালক লে. কর্নেল মো. মুনীর হোসেন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য এবং উপজেলার নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
কবিতা খানম বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আমরা বিব্রতকর অবস্থায় আছি। একটা সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। কিন্তু অযথা যাতে কাউকে হয়রানি করা না হয় সেটিও লক্ষ্য রাখতে হবে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হয়তো কারও নাম বলতে পারে। আসলে সে জড়িত কিনা সেটাও খুঁজে বের করা উচিত। ভোটার হতে জন্মসনদসহ বিভিন্ন সার্টিফিকেটগুলো যারা দিচ্ছেন, কিভাবে দিচ্ছেন- সেটা খুঁজে বের করা দরকার। যদি এ অনিয়ম সমূলে উৎপাটন করতে হয় তাহলে স্থানীয় পর্যায় থেকে অনুসন্ধান করতে হবে।