ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের তারকারা এ দলের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। স্মৃতি ইরানির মতো বিখ্যাত অভিনেত্রী রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে।
সম্প্রতি নাগরিকত্ব বিল সংসদে পাস করানোর প্রতিবাদে সমাজের নানা স্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে পড়েছে সরকারে ক্ষমতাসীন মোদির দল বিজেপি। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসছে আন্দোলন ও সহিংসতার খবরও।
এরই মধ্যে ভারতের আসাম রাজ্য উত্তাল হয়েছে। সেখানে রাজপথে জ্বলেছে আগুন। স্থবির করে দেয়া হয়েছে রেলপথ। পাশাপাশি প্রতিবাদে মুখর রাজ্যটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সেই তালিকায় রয়েছেন আসামের অনেক তারকাও।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ‘সর্বকালের মূর্খতা’ এমনই মন্তব্য করেছেন আসামের ভূমিপুত্র বলিউড তারকা আদিল হুসেন। শুধু আদিল নয়, সে রাজ্যেরই আরেক অভিনেতা যতীন বোরা ওই আইনের প্রতিবাদে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। আসাম স্টেট ফিল্ম ফিন্যান্স ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারপারসন পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন তিনি। এই পদে তিনি আসীন হয়েছিলেন সরকারি দলের বুদ্ধিজীবী হিসেবেই। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে জনগণের জন্য অমঙ্গলের মনে করে বিজেপির সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছেদ করেছেন তিনি।
গুয়াহাটির লাটাশিল মাঠে আন্দোলনকারীদের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি স্পষ্ট ঘোষণা দেন, আমি সিএবি সমর্থন করি না। এরপরই তার সংযোজন, আমার পরিচয় আসামবাসীর জন্য। তাই আমি তাদের সঙ্গেই থাকব।
আসামের এই তারকা অভিনেতা বলেন, আমি ভেবেছিলাম যে আন্দোলনের জেরে সরকার বিল প্রত্যাহার করে নেবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাস হলো। আমি শুধু সমর্থক ও সদস্য ছিলাম বিজেপির। বিলের বিরোধিতায় আমিও আন্দোলন চালিয়ে যাব।
পদত্যাগের তালিকা এখানেই শেষ নয়, আসামের আরেক অভিনেতা রবি শর্মা দল ত্যাগ করেছিলেন রাজ্যসভায় বিলটি পাসের পর। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্র নির্মাতা জানু বড়ুয়া আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চলতি বছরের ৮তম ‘আসাম ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন না।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবারই গায়ক পাপন নয়াদিল্লিতে তার অনুষ্ঠান বাতিল করেন। তিনি টুইটে জানিয়েছিলেন, ‘আমার ঘর আসাম জ্বলছে, কাঁদছে ও কারফিউ জারি’। তাই অনুষ্ঠান বাতিল করলাম।