দ্বিতীয়বারের মতো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বরিস জনসনের বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের জন্য মিয়ানমারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং নিরাপদে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্য সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সহযোগিতা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছে বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ জয়ের মাধ্যমেই বোঝা যায় কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রতি যুক্তরাজ্যের মানুষের ভরসা রয়েছে। দৃঢ়তা, গণতন্ত্রের সাধারণ মূল্যবোধ, সহিষ্ণুতা, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাস মোকাবেলা ও সমৃদ্ধ অগ্রগতির ভিত্তিতে উভয় দেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্তরাজ্য নিবিড়ভাবে জড়িত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্তরাজ্য সরকার ও জনগণের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি রক্ষার কথাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
- ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছে জিয়া’
- নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে তারকারা বিজেপি ছাড়ছেন
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার বহুমাত্রিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের আয়োজনে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফরের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে আন্তরিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।