গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারিকরণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদায় তাদের বেতন দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ রায়ের ফলে দেশের ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশ বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
আজ রোববার এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে দফাদার ও মহলদার হিসেবে কর্মরত গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। এদের মধ্যে দফাদারদের মাসিক বেতন ৩ হাজার ৪০০ টাকা। আর মহলদারদের বেতন ৩০০০ টাকা।
গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এই বেতনের অর্ধেক দেয় ইউনিয়ন পরিষদ আর সরকারের কোষাগার থেকে আসে বাকিটা।
ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃংখলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়। কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।
- ভারতে গণহত্যার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন : জেনোসাইড ওয়াচ
- নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন: বিক্ষোভে পাঁচ দিনে নিহত ৬
এদিকে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।
চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তি, সরকারি বেতন কাঠামোর চতুর্থ শ্রেণির সমমর্যাদা, মানসম্মত পোশাক, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতো রেশন চালু ও ঝুঁকি ভাতা প্রদান, প্রত্যেক বিভাগে একটি করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং সন্তানের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে আন্দোলনের পর গ্রাম পুলিশরা প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতে আসে।