প্রথম ম্যাচে হারলেও পরে টানা দুই ম্যাচে জয় পেল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল ঢাকা প্লাটুন। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট থান্ডারকে ২৪ রানে হারিয়েছে ঢাকা। গতকাল শুক্রবার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে ২০ রানে হারিয়েছিল তারা। আর প্রথম ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছিল মাশরাফির দল। অন্যদিকে, তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হারল সিলেট।
এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ঢাকা প্লাটুনের দেয়া ১৮৩ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৮ রান করতে সক্ষম হয় সিলেট থান্ডার।
দলের পক্ষে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ৪৪ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন জনসন চার্লস। ঢাকার বোলারদের মধ্যে মাশরাফি ২টি, হাসান মাহমুদ ২টি ও ওয়াহাব রিয়াজ ১টি করে উইকেট নেন।
সিলেট ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফিরে যান আন্দ্রে ফ্লেচার। চতুর্থ ওভারে ফেরেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। দল বিপাকে পড়লেও জনসন চার্লস ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু ৮ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৯ রান করে তিনি দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে যান।
পঞ্চম ওভারে চার্লস ফেরার পর ষষ্ঠ ওভারে বিদায় নেন শফিকুল্লাহ। অষ্টম ওভারে মাশরাফির বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে শাদবের হাতে ধরা পড়েন প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা মিথুন।
এরপর মোসাদ্দেক ও নাঈম জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। মোসাদ্দেক শুরু থেকেই মারমুখী খেলতে থাকেন। কিন্তু তাকে তার অপর প্রান্ত থেকে কেউ খেলতে পারেনি। মোসাদ্দেকের সাথে ৩৬ রানের জুটি গড়ার পর রান আউট হন নাঈম।
নাঈম ফেরার পর মোসাদ্দেক ও দেলোয়ার মিলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১৩১ রানে মাশরাফির বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে আরিফুলের হাতে ক্যাচ হন দেলোয়ার। তারপর মোসাদ্দেক ও সান্তোকি জুটি বেঁধে হারের ব্যবধানে কিছুটা কমিয়ে দেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮২ রান সংগ্রহ করে ঢাকা প্লাটুন। ঢাকার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওপেনার এনামুল হক বিজয় ৪২ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬২ রান করেন। ২৮ বলে ৩১ করেন তামিম ইকবাল।
- আরও ৩ মাস গৃহবন্দি থাকছেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ
- প্রাথমিকে ১৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফল
অন্যদের মধ্যে ১২ বলে ২০ করেন জাকের আলী। ১১ বলে ২২ করে অপরাজিত থাকেন থিসারা পেরেরা। ৭ বলে ১৭ করে অপরাজিত থাকেন ওয়াহাব রিয়াজ। সিলেটের বোলারদের মধ্যে নাঈম হাসান ১টি, ইবাদত হোসেন ১টি, মোসাদ্দেক হোসেন ১টি ও দেলোয়ার হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ২৪ রানে জয়ী ঢাকা প্লাটুন
ঢাকা প্লাটুন ইনিংস: ১৮২/৪ (২০ ওভার)
(তামিম ৩১, এনামুল ৬২, ইভান্স ২১, জাকের ২০, থিসারা ২২, ওয়াহাব ১৭; নাঈম হাসান ১/৩৫, সানতোকি ০/৩৬, ইবাদত ১/৩৯, অপু ০/২৬, মোসাদ্দেক ১/১৬, দেলোয়ার ১/২৮)।
সিলেট থান্ডার ইনিংস: ১৫৮/৭ (২০ ওভার)
(রনি তালুকদার ১৪, ফ্লেচার ১০, চার্লস ১৯, মিথুন ৮, শফিকুল্লাহ ২, মোসাদ্দেক ৬০, নাঈম হাসান ১০, দেলোয়ার ১৭, সানতোকি ৬; মাশরাফি ২/২৯, হাসান মাহমুদ ২/২৪, থিসারা ০/৩১, ওয়াহাব রিয়াজ ১/৩২, শাদব ০/২৮, মেহেদী হাসান ০/৯)।
ম্যাচ সেরা: এনামুল হক বিজয় (ঢাকা প্লাটুন)