বিজয় দিবস উদযাপন করতে সভারের প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। বিজয়ের ৪৮তম বার্ষিকীতে আর মাত্র কয়েক প্রহর পরেই স্বাধীনতা সংগ্রামে অকুতোভয় বীর শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে সমগ্র জাতি। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
এরপর সৌধবেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবেন দেশি-বিদেশি কূটনীতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ লাখো জনতা।
বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা।
বিজয় দিবস সামনে রেখে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সৌধস্তম্ভের উঁচু চূড়া থেকে শুরু করে শহীদবেদি ও পায়ে চলার পথসহ পুরো এলাকা ধুয়েমুছে চকচকে করা হয়েছে। সৌধ ফটক থেকে বেদি পর্যন্ত হাঁটাপথের লাল ইটগুলো সাদা রঙের ছোঁয়া ছড়াচ্ছে শুভ্রতা। বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ ও সাদাসহ বিভিন্ন বর্ণের ফুল গাছের চারা।
ছেঁটে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তোলা হয়েছে সৌধ এলাকার শোভাবর্ধনকারী গাছ। আর সৌধ চত্বরের কৃত্রিম হ্রদগুলোতে ফুটে থাকা লাল শাপলা যেন জানান দিচ্ছে অকুতোভয় অর্জনের।
সৌধের পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে কর্মীরা জানান, গত এক মাস ধরে তারা সৌধ এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। সৌধস্তম্ভের সাতটি উঁচু চূড়া তারা ঘঁষেমেজে পরিষ্কার করেছেন। বেদিসহ এর আশপাশের পুরো এলাকার পায়েচলা পথগুলো ধুয়েমুছে চকচকে করে তোলার কাজও শেষ হয়েছে। সৌধের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে বাহারি ফুলের চারা ও টব। এখানকার কৃত্রিম হ্রদের পানিতেও লাগানো হয়েছে লাল শাপলা।
সৌধের ভেতর ও বাইরের অংশের সীমানা প্রাচীর ও ফটকসহ বিভিন্ন স্থানে লাল, নীল, সবুজ বাতির বর্ণিল আলোকসজ্জার কাজও শেষ হয়েছে ইতোমধ্যে।
সাভার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী জোয়ারদার তাবেদুন্নবী বলেন, সৌধ চত্বরের প্রায় ৪০ একর এলাকা ধোয়া-মোছা ও অন্যান্য সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শতাধিক শ্রমিক নিয়ে তারা গত প্রায় পনের দিন ধরে কাজ করছেন। এখন টুকটাক আলোকসজ্জার কাজের পাশাপাশি চলছে ফিনিশিংয়ের কাজগুলো। রবিবারের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে সম্পূর্ণ কাজ।
জোয়ারদার তাবেদুন্নবী আরও বলেন, সৌধ এলাকার সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য গত ১ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ রয়েছে। তবে ১৬ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও দেশি-বিদেশি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের পর তা সবার জন্য খুলে যাবে।
- নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল: উত্তাল পশ্চিমবঙ্গে বাস-ট্রেনে আগুন
- প্রাথমিকে ১৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফল
স্মৃতিসৌধে যাওয়া-আসার পথের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার জানান, মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাভারের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ জন্য জেলা পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।