পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশে দরিদ্র ও অতি দরিদ্রের হার কমেছে। দরিদ্রের হার কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং অতি দরিদ্রের হার কমেছে দশমিক ৮ শতাংশ। দেশে দরিদ্রের হার কমায় সংশ্লিষ্টদের ধনবাদ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
একনেক সভা শেষে গণমাধ্যমকে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আগে দারিদ্র্যের হার ছিল ২১ দশমিক ৮ শতাংশ, এটা বর্তমানে নেমে এসেছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে। অর্থাৎ ১ দশমিক ৩ শতাংশ দারিদ্র্যের হার কমেছে।’
মন্ত্রী জানান, একই সময়ে অতি দরিদ্রের হারও কমেছে। আগে অতি দরিদ্রের হার ছিল ১১ দশমিক ৩ শতাংশ, এখন তাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ দশমিক ৮ শতাংশ অতি দারিদ্র্যের হার কমেছে।
এম এ মান্নান বলেন, ‘দরিদ্র ও অতি দরিদ্রের হার কমায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রীও এতে অত্যন্ত আনন্দিত।’
সংসদ ভবনে প্রি-পেইড মিটার বসানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় সংসদ ভবনের বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে প্রায়ই সমস্যা হয়। প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুতের দায়িত্বে আছেন। তিনি বলেছেন, অবিলম্বে এখানে (সংসদ ভবনে) সব ভবনে বা সব কারেকশনে প্রি-পেইড মিটার লাগান। প্রি-পেইড মিটার ইদানীং আমাদের অনেক জায়গায় লাগানো হচ্ছে। আমাদের সংসদ ভবনের অফিস ও বাসভবনেও ফ্রি প্রি-পেইড মিটার লাগান, এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন ‘এমনিতেই সারাদেশে আমরা প্রি-পেইড মিটার দিচ্ছি। যেহেতু সারাদেশে প্রি-পেইড মিটার লাগাচ্ছি, তাহলে এখানে লাগাব না কেন, এখানেও লাগাব’।
এ সময় দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি ভাষা শিক্ষার প্রতিও জোর দেয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার প্রতি জোর দেয়ার জন্য আইসিটি বিভাগকে বলেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, ‘তোমরা (আইসিটি) তো শিখাচ্ছ দুটো ভাষা। আরবি, ফরাসি, জাপানি- এগুলো শিখাও।’
বড় বড় সেতু বানালে ক্ষতি হয়। সেতু বানানোর ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সেই সঙ্গে কোনো নদীতে রেল ও সড়কসেতু নির্মাণের সময় রেল ও সড়কসেতু আলাদা না করে একসঙ্গে নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।