আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, স্বাধীনতার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ দলটির দায়িত্বশীলরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকারকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘যুদ্ধাপরাধীর সন্তান’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান- শাহ আজিজ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আব্দুল আলীমদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া নিজামী, মুজাহিদকেও মন্ত্রীত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, এই বিজয়ের মাসে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই বাংলার মাটিতে কোনো ধরনের যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই হবে না। আমাদের পূর্বসূরীরা জীবন দিয়ে আমাদের জন্য রাষ্ট্র তৈরি করে গেছেন। আমরা তাদের কাছে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, জীবন দিয়ে হলেও আমরা সেই ঋণ পরিশোধ করব। এই বাংলাদেশের কোথাও যুদ্ধাপরাধীদের জায়গা হবে না। বাংলাদেশের কোথাও তারা রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না। বাংলাদেশের মানুষ তাদের গ্রহণ করবে না।
‘বিএনপিকে হেনস্তা করতে রাজাকারের তালিকা করা হয়েছে’ বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে বর্তমান সরকার ৪৮ বছরের আকাঙ্ক্ষিত প্রায় এগার হাজার রাজাকার, আল বদর, আল সামসদের তালিকা প্রণয়ন করেছে। ধারাবাহিকভাবে এসব স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই অপরাধী আর জঙ্গিবাদের আশ্রয়দাতারা কী কথা বলছে। মির্জা ফখরুল বলেছে, এই রাজাকারের তালিকা নাকি বিএনপিকে হেনস্থা, পর্যুদস্তু করার জন্য করা হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তাহলে কি মির্জা ফখরুল আপনি মেনে নিলেন, আজকের বিএনপি-রাজাকার দ্বারাই পরিচালিত হয়? তবে এটাও সত্য, মির্জা ফখরুল আপনি মির্জা রুহুল আমিনের সন্তান। মির্জা রুহুল আমিন ঠাকুরগাঁওয়ের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী ছিলেন। তার রক্তের উত্তরাধিকারী আপনি। আপনার মুখে তো রাজাকারদের পক্ষে কথা বের হবেই, এটাই স্বাভাবিক। কারণ এখনো আপনি বিএনপির মহাসচিব।
- পটুয়াখালীতে একই ব্যক্তির নাম রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়!
- ডেসটিনির চেয়ারম্যান-এমডির জামিন আবেদন খারিজ
অনুষ্ঠানে বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকউজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, মির্জা আশফাক, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী বক্তব্য রাখেন।