মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লেন্ডল সিমন্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২২১ রানের পাহাড় গড়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ৪ উইকেটে বিপিএল সপ্তম আসরের রেকর্ড রান করেছে স্বাগতিক চট্টগ্রাম।
বিপিএলে এর আগে দলীয় সর্বোচ্চ ২৩৯/৪ রানের রেকর্ড গড়ে রংপুর রাইডার্স। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিপিএল ষষ্ঠ আসরের ৩০তম ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে অ্যালেক্স হেলস ও রাইলি রুশোর জোড়া সেঞ্চুরিতে এই রান করেছিল মাশরাফির নেতৃত্বাধীন রংপুর। সেই ম্যাচে রংপুর এই চট্টগ্রামের বিপক্ষে রেকর্ড রান করে ৭২ রানের জয় পায়।
বুধবার দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার ইনিংসটি ২৮ বলে পাঁচটি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো। এছাড়া ৩৬ বলে ৫৭ রান করেন চট্টগ্রামের ক্যারিবীয় ওপেনার লেন্ডল সিমন্স।
২৪ বলে ৪০ রান করেন জাতীয় দলের তারকা ওপেনার ইমরুল কায়েস। ১৩ বলে ২৬ রান করেন অন্য ওপেনার ফার্নান্দো। ১৮ বলে ২৭ রান করেন চাদউইক ওয়ালটন।
বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের ১২তম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে চট্টগ্রাম। ওপেনিং জুটিতে অভিস্কা ফার্নান্দোকে সঙ্গে নিয়ে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ৪.৪ ওভার তথা ২৮ বলে ৫১ রানের জুটি গড়েন সিমন্স।
এরপর জাতীয় দলের তারকা ওপেনার ইমরুল কায়েসের সঙ্গে জুটি বেঁধে ফের ৫০ রান যোগ করেন সিমন্স। ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেয়া ক্যারিবীয় এ ওপেনার নিজের ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউটের ফাঁদে পড়েন। ১০.২ ওভারে দলীয় ১০১ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে ৫টি চার ও চারটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন সিমন্স।
- সরকারবিরোধী আন্দোলনে সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান বিএনপির
- বঙ্গবন্ধু বিপিএল : কুমিল্লার কাছে রংপুরের দ্বিতীয় হার
২৪ বলে ৫টি চার ও এক ছক্কায় ৪০ রান করে ফেরেন ইমরুল কায়েস। চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমের রীতিমতো ঝড় তোলেন জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এ অধিনায়ক একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২৮ বলে ৫৯ রান করে ফেরেন।
শেষ পর্যন্ত খেলে যাওয়া ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান চাদউইক ওয়ালটনের ১৮ বলে গড়া ২৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটে ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ইনিংস: ২২১/৪ (২০ ওভার)
(সিমন্স ৫৭, অভিশকা ২৬, ইমরুল ৪০, রিয়াদ ৫৯, ওয়ালটন ২৭*, নুরুল ৭*; মাশরাফি ০/৪২, সালাউদ্দিন ১/২৭, হাসান মাহমুদ ২/৫৫, মেহেদী হাসান ০/৩৩, থিসারা ০/৩৩, শহীদ আফ্রিদি ০/৩০)।