খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করলে গণতন্ত্র মুক্ত হবে না : ফখরুল

নরসিংদী প্রতিনিধি

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করলে এদেশে গণতন্ত্র মুক্ত হবে না। কারণ গণতন্ত্র এবং বেগম খালেদা জিয়া অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মোমেন খানের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীতে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বেগম জিয়া সেই ব্যক্তি, সেই নেত্রী, যে সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। গৃহবধূ ছিলেন। ঘরে বাস করতেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মীনী ছিলেন। জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর যখন বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য কাঁদছিল, সেই সময় বেগম জিয়া বেরিয়ে এসেছেন, রাজপথে নেমেছেন। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ ৯টা বছর লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। স্বৈরাচারকে পরাজিত করে তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের দল’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা বানাচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বানাচ্ছে। তারা যে মুক্তিযুদ্ধের সরকার সরকার করে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ইতো বানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা গণতন্ত্রের চেতনা, সে চেতনাকে নিয়ে আমরা লড়াই করছি। আমাদের যে সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম অর্থাৎ গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম।  

বর্তমান সরকারকে অবৈধ সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিজয় অবশ্যই হবে, বাংলাদেশের মানুষ কখনো কোন আন্দোলনে পরাজিত হয়নি। আজকে আমরা ন্যায়ের পথে আছি, সত্যের পক্ষে আছি, বিজয় অবশ্যম্ভাবী। আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার জন্য বর্তমান সরকারকে আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় সময় পাবেন না।    

শহরের সিএন্ডবি রোডস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক জয়নুল আবেদীন, বিএনপির বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, সদস্য কামরুজ্জামান রতন, ফেরদৌস আহমেদ খোকন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ইরান, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সুলতান উদ্দিন মোল্লা, সহ-সভাপতি মনজুর এলাহী, কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্রামুল হাসান মিন্টু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে